বরগুনার তালতলীতে ৩০৭ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদু্যৎ কেন্দ্র বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি লি.কে দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তের ১৫৭.২৯ একর জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই খাসজমি স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে ছিল।
বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের পক্ষে সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত ১নং খাস খতিয়ানের বন্দোবস্তকৃত জমি বুঝিয়ে দেন।
জানা যায়, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বড় অংকুজানপাড়া এলাকায় ২০১৮ সালের জুনের দিকে ৩০৭ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদু্যৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। তাপবিদু্যৎ কেন্দ্র নির্মাণের মাঝেই সরকারি খাসজমি ভুয়া বন্দোবস্ত দেখিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে রাখেন। ৪১নং ছোট নিশানবাড়িয়ার মৌজার ১নং খাসখতিয়ানভুক্ত অকৃষি বাণিজ্যিক শ্রেণির ছয়টি দাগের ৩২০.৯৭ একর থেকে ১৫৭.২৯ একর খাসজমি দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য ২০২০ সালের দিকে বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি লি. (বিইপিসিএল) ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। গত বছরের আগস্ট মাসের শেষ দিকে ঐ ছয়টি দাগ থেকে শর্ত সাপেক্ষে ১৫৭.২৯ একর জমি বিইপিসিএল কে দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়। ঐ বন্দোবস্তের জমি জেলা প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় ভূমি মন্ত্রণালয়। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে থাকা সরকারি জমি জেলা প্রশাসন সরেজমিন গিয়ে বুঝিয়ে দেন বিইপিসিএলকে। ঐ জমি যাতে কেউ পুনঃদখল করতে না পারে সেজন্য জমি মেপে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর হতে এ বিদু্যৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদু্যৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, দখলে থাকা বন্দোবস্তকৃত জমি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে তাপবিদু্যৎ কেন্দ্রকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। এজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি লি. কে ১৫৭.২৯ একর জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।