পূর্বধলায় অবাধে চলছে পোনা মাছ নিধন

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার পূর্বধলায় অবাধে পোনা মাছ ও ডিমওয়ালা মাছ নিধনের মহোৎসব চলছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একশ্রেণির অসাধু মাছ শিকারি বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তৈরি, অবৈধ মশারি জাল, কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি বাইড় ব্যবহারের মাধ্যমে অবাধে এসব দেশীয় পোনা মাছ শিকার করছেন। এতে দেশীয় মাছ বৃদ্ধি, প্রজনন হুমকির মাঝে পড়েছে। সাধারণ জনগণ বলছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদাসীনতার কারণে এমনটি হচ্ছে। তবে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দাবি করছেন তারা এ ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় পদক্ষেপ নিয়েছেন। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে উপজেলার বিভিন্ন জলাশয় পস্নাবিত হওয়ায় ডিমওয়ালা মাছগুলো ডিম ছাড়তে শুরু করে। এসব ডিমের রেণু থেকে বের হওয়া ছোট মাছ বর্ষার পানিতে চলাচল করতে গিয়েই ধরা পড়ছে শিকারির ফাঁদে। উপজেলার ঘাগড়া, জারিয়া, ধলামুলগাঁও, খলিশউড়, পূর্বধলা সদর, আগিয়া, বিশাককুনী, হোগলা ইউনিয়নসহ প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই মাছ চলাচলের পানির নালা, খাল, নদীতে বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে এসব পোনা মাছ শিকার করতে দেখা গেছে। এসব ফাঁদের মধ্যে নদী ও খালে অবৈধ বাঁধ উলেস্নখযোগ্য। এছাড়া অবাধে চায়না দুয়ারি বাইর, খরাজাল, কারেন্ট জাল, মশারি জাল, কুইয়াজাল উলেস্নখযোগ্যা। কুইয়াজাল দিয়ে টাকি মাছ, শোল মাছের পোনা মারতে দেখা যায়। অবৈধ চায়না দুয়ারি বাইর থেকে রেহাই পাচ্ছে না পোনা মাছ, ডিমওয়ালা মাছসহ যেকোনো প্রজাতির মাছ। অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়েও শিকার করা হচ্ছে ছোট-বড় সব প্রজাতির মাছ। এছাড়া শিপ জাল দিয়ে পানি চলাচলকারী ব্রিজের পাশ থেকেও পোনা মাছ শিকার করা হচ্ছে অবাধে। এসব পোনা মাছের মধ্যে কই মাছ, পুঁটি মাছ, গুঙ্গিয়া মাছ, গুতি মাছ, চিকরা মাছ, টাকি মাছসহ দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছের পোনা রয়েছে। এছাড়া রেহাই পাচ্ছে না মা মাছগুলোও। এসব পোনা মাছগুলো জারিয়া, পূর্বধলা, শ্যামগঞ্জ, ঘাগড়াসহ উপজেলার বিভিন্ন ছোট-বড় বাজারগুলোতে প্রকাশ্যে বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। আর এসব চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রকাশ করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বদিউজ্জামান জানান, পোনা মাছ ও ডিমওয়ালা মাছ নিধন একটি গর্হিত কাজ। মাছ ধরার বিভিন্ন অবৈধ উপকরণ নিয়ে যারা এসব কাজ করে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে তদারকি জোরধারের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।