নাটোরের গুরুদাসপুরে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে বৈদুতিক মিটারচুরি চক্রের সদস্যরা। গভীর রাতে চুরি যাওয়া মিটারের পাশে পলিথিনে মুড়িয়ে রেখে যাওয়া হয় চিরকুট। যেখানে লেখা থাকে, 'চুরি যাওয়া মিটার ফেরত পেতে ফোন করুন'। চিরকুটে থাকা নম্বরে কল করলে টাকা চাওয়া হয়। বিকাশ ও নগদ নম্বরে টাকা নিয়ে মিটার কোথায় পাওয়া যাবে তার স্থান বলে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের তথ্যমতে, শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলা পৌর সদরের গারিষাপাড়া, গোপালের মোড়সহ বেশ কয়েকটি মহলস্নায় প্রায় ৩৬টি বৈদুতিক মিটার চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। চোর চক্রের সদস্যরা প্রকাশ্যে মোবাইল নম্বর দিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ তাদের কোন সন্ধান করতে পারেনি।
গারিষাপাড়া মহলস্নার চাতাল ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান জানান, 'মিটার চুরির ঘটনা এর আগেও ঘটেছে তার এলাকায়। তবে তার মিটার এই প্রথম চুরি হয়েছে। শুক্রবার সকালে চাতালে এসে দেখেন মিটার নেই।' তবে মিটারের নিচে পলিথিনে মুড়িয়ে থাকা একটি চিরকুট দেখতে পান তিনি।
মিটার চুরি যাওয়া আরো এক চাতাল মালিক রবিউল করিম জানান, মিটার চুরির ঘটনা নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরে চাতাল ব্যবসায়ী, মিল কারখানা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মিটার চুরি করে বিকাশে চার-পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে মিটার ফেরত দেয়। তার মিটারটি এর আগেও একবার চুরি হয়েছিল। মিটারের নিচে রেখে যাওয়া নম্বরে কল দিলে বিকাশ নম্বর দেয়। সেই নম্বরে পূর্বের ঘটনায় চার হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন তিনি। তারপর চোরের দেওয়া তথ্য মতে নদীর তীরবর্তী স্থান থেকে মিটার সংগ্রহ করেছিলেন তিনি
এ বিষয়ে নাটোর পলস্নী বিদু্যৎ সমিতি-২ ডিজিএম মোমিনুর রহমান বিশ্বাস বলেন, 'শুক্রবার তথ্য অনুযায়ী গোপালের মোড় থেকে ১৩টি মিটার চুরি হয়েছে। তার বেশিও হতে পারে। বৃষ্টির কারণে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা যায়নি। চুরির পর প্রকাশ্যে মোবাইল নম্বর দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। ক্ষতিগ্রস্ত সকল গ্রাহককে থানা পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে এবং তাদের পক্ষ থেকে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে।' গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ উজ্জল হোসেন বলেন, 'অভিযোগ পেলে তদন্ত করে অপরাধীদের দ্রম্নত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।