ভেস্তে যেতে পারে ৫২ লাখ টাকা

সংস্কারের নামে অনিয়মের কবলে বড়াল নদী

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর চারঘাটে বড়াল নদীর উৎসমুখে খননকাজ চলছে -যাযাদি
পানি প্রবাহে প্রতিবিঘ্নতা সৃষ্টি হওয়ায় অস্তিত্ব সংকটে পড়া বড়াল নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাইলট প্রকল্প বড়াল নদীর মুখ পুনঃখননের মাধ্যমে উৎস্যমুখ মহনায় ও নদীগর্ভে খনন কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড, রাজশাহী সূত্রে জানা যায়, পদ্মানদী থেকে শাখানদী বড়ালে পানির সুষ্ঠু প্রবাহ বজায় রাখতে নদী মহনায় প্রায় ৪৫০ মিটার খনন করা হবে যার ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫২ লাখ টাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ অপরিকল্পিত খনন নদীর উৎস্যমুখে সঠিক পানি প্রবাহে কোনো কাজে আসবে না গচ্চা যাবে প্রকল্প থেকে দেওয়া সরকারের বরাদ্দ অর্থ। সরেজমিন দেখা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমিন অ্যান্ড কোং খননযন্ত্র ভেকু দিয়ে কয়েকদিন নদীর মোহনায় ও ব্রিজসংলগ্ন জায়গায় মাটি কেটে নদীর ভিতরে রেখে দিয়েছে। বৃষ্টিতে অথবা বর্ষা মৌসুমের পানিতে মাটি ধুয়ে আবার নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বড়াল নদীর উৎস্যমুখের মূল মোহনায় না কেটে খানিকটা দক্ষিণ দিকে সরে গিয়ে ১০-১২ মিটার প্রস্থ সরু খালের মতো খনন করা হয়েছে। অথচ উৎস্যমুখে বড়াল আয়তন প্রায় ৪শত ফুট প্রশস্ত। বড়াল নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনার পরিবর্তে চিরতরে নদীটি বিলীনের মুখে ফেলছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে। তাদের দাবি দীর্ঘদিন সঠিকভাবে খনন না হওয়ায় নদীটি ভরাট হয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। বর্তামানে খনন কাজ শুরু করা হলেও তা সরুভাবে খনন করে একদম খালে পরিণত করা হচ্ছে। নদীটি সঠিকভাবে খনন করে নাব্য ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন কলেজ শিক্ষক নজরুল ইসলাম। পানি উন্নয়ন বোর্ড, রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বড়াল নদীর মুখ পুনঃখনন পাইলট প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৪৫০ মিটার খনন কাজ করার জন্য এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নাব্যতা ফিরতে ইতোমধ্যে বড়াল নদীর মুখে খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে তবে উৎসমুখে খননের ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি সরবরাহ বাড়বে বলে তিনি জানিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড নাটোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এমরান হোসেন মুঠোফলে বলেন, 'এ প্রকল্প বিষয়ে আমরা অবহিত নয় তবে ইতোমধ্যে বড়াল পুনঃখননের জন্য বড়াল নদী পুনঃজীবিতকরণ প্রকল্প নামে প্রকটি প্রকল্প দেওয়া হয়েছে যা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বড়াল নদীর প্রায় ১০২ কিমি খনন করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা খানম বলেন, 'বড়াল নদী সংস্কার সংক্রান্ত তথ্য পানি উন্নয়ন বোর্ড নাটোর অথবা রাজশাহী শাখা উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে নাই। জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে জানানো হবে।'