নাটোরের গুরুদাসপুরে এক বাড়ি থেকে পাওয়া গেল ৫০টি বিষধর সাপের বাচ্চা। বুধবার সকালে উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের শিকার পাড়া গ্রামের আব্দুল মতিনের মাটির ঘর থেকে ওই সাপগুলো পর্যায়ক্রমে উদ্ধার করা হয়। সাপ উদ্ধারের পর আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসী।
কৃষক আব্দুল মতিন জানান, 'দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মাটির ঘরে বসবাস করে আসছেন। বুধবার সকালে দরজার পাশে একটি সাপের বাচ্চা দেখতে পান। তারপর সাপটিকে মারতে গেলে গর্তের ভেতরে লুকিয়ে পরে। প্রতিবেশী কয়েকজন যুবকের সহযোগিতায় গর্তগুলো লোহার সাবল দিয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে একের পর এক সাপের বাচ্চা ও বড় সাপ বের হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ঘরের বিভিন্ন দেয়াল খুঁড়ে ছোট বড় প্রায় ৫০টি সাপ উদ্ধার করা হয়। সাপগুলো বিষধর হওয়ায় আতঙ্কে স্থানীয়রা মিলে সাপগুলোকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদী হাসান জানান, 'আব্দুল মতিনের বাড়ি থেকে এতগুলো সাপ বের হওয়ার পর থেকে গ্রামবাসী এবং আশপাশের প্রতিবেশীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসনিকভাবে নিয়মিত তলস্নাশি চালিয়ে এই এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার। এছাড়াও উদ্ধার হওয়া সাপগুলো বনবিভাগ থেকে সংরক্ষণ করতে পারলে স্থানীয়রা আতঙ্কে সাপ মেরে ফেলতে পারবে না।
এদিকে পরিবশেকর্মীরা বলছেন, সাপগুলোকে না মেরে পরিবেশকর্মী, বনবিভাগসহ প্রশাসনকে খবর দেওয়া যেত। তা ছাড়াও সাপগুলো পিটিয়ে মারা ঠিক হয়নি। বনবিভাগকে খবর দিলে অবশ্যই সাপগুলোকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে দিয়ে আসত এবং অর্ধশতাধিক সাপগুলোও বেঁচে থাকত।