নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে চাঞ্চল্যকর শিশু সাকিব সিকদার (১০) হত্যাকান্ডের তিন মাস পার হলেও এখনো হত্যার কোনো ক্লু বের করতে পারেনি পুলিশ। থানা পুলিশের ব্যর্থতার অভিযোগ এনে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব সিআইড অথবা পিবিআইকে দেওয়ার জন্য মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) কাছে লিখিত আবেদন করেছেন মামলার বাদী নিহতের মা তানিয়া আক্তার। গত ২৬ জুন তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগটি করেছেন। এর আগে গত ৪ এপ্রিল রূপগঞ্জ উপজেলার গোরাকান্দাইল এলাকার জিপু সিকদারের ছেলে শিশু সাকিব সিকদার আড়াইহাজার উপজেলার পাঁচরুখী এলাকায় তার নানা আ. মজিদ মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে রহস্যজনক ও মর্মান্তিকভাবে অজ্ঞাতনামা খুনিদের হাতে খুন হয়।
এর পর ৫ এপ্রিল ভোরে তার নানা আ. মজিদের বাড়ির আঙিনার পাশে সাকিবের লাশ মুখসহ মাথা পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ মর্গে পাঠায়। এ সময় লাশের গায়ে বিভিন্ন নির্যাতনের চিহ্ন দেখা যায়।
এ ব্যাপারে ওই দিনই নিহত সাকিবের মা তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে হত্যা মামলা করেন। কিন্তু ঘটনার পর তিন মাস পরেও পুলিশ হত্যাকান্ডের কোনো ক্লু বের করতে পারেনি।
নিহতের পিতামহ নজরুল সিকদার জানান, 'আমি সাকিবের খেলার সাথী তার নানার বাড়ির পাশে বসবাসরত মনিরের ছেলে সিফাতকে জিজ্ঞাসা করলে সিফাত জানায়, লাশ উদ্ধারের আগের দিন (৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টা পর্যন্ত সাকিব তার সঙ্গেই ছিল। তারা ঘুড়ি তৈরি করার পলিথিন কাটার জন্য একটি বেস্নড আনতে সাকিবকে পাশের বাড়ির সারিয়া বেগম নামের মহিলার ঘরে পাঠায়। এরপর সাকিব আর ফেরেনি।'
নিহতের পিতামহ নজরুল সিকদার আরও জানান, এ তথ্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আড়াইহাজার থানার এসআই ইমরানকে দিলে সারিয়ার পরিবারের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও হত্যার কোনো ক্লু বের করতে পারেননি তিনি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইমরান বলেন, এটি একটি হত্যা মামলা। কোনো ক্লু ছাড়া যাকে তাকে ধরে আনা যায় না। তা ছাড়া পুলিশের কাছে পর্যাপ্ত উন্নত তথ্য প্রযুক্তি না থাকায় হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা যায়নি।