কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, নিকলী, কুলিয়ারচরসহ হাওড় অধু্যষিত উপজেলাগুলোতে সিলেট থেকে নেমে আসা পানি, ভারী বর্ষণ ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের পরে গত ২ দিন ধরে অতিরিক্ত মাত্রায় পানি বেড়েই চলেছে। এসব নদী তীরবর্তী এলাকার হাজার হাজার গ্রামবাসী আতঙ্কের মধ্যে দিনযাপন করছে।
বাজিতপুর উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়নের কচুয়াখলা, আছানপুর, বলিয়ারদী ইউনিয়নের বাহেরবাউলী, মাইজচর ইউনিয়নের আয়নারগোপ, মাইজচরের উত্তর ও দক্ষিণপাড়াসহ নিম্নাঞ্চলের বাড়ি-ঘরগুলো পানিতে প্রায় তলিয়ে গেছে। এদিকে নিকলী উপজেলার ছাতিরচর, সিংপুর ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাড়িগুলো অতিরিক্ত স্রোতের কারণে গ্রামগুলো ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। যদিও এই দুই উপজেলার আছানপুর, ছাতিরচর, সিংপুর এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে গ্রাম প্রতিরক্ষার জন্য ১৬২ কোটি টাকার কাজ হচ্ছে। কিন্তু নদীতে পানি আসার কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজগুলো আপাতত কয়েক মাসের জন্য বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে এই নদী তীরবর্তী এলাকার বানভাসি গরিব মানুষের বর্তমানে কোনো কাজ না থাকায় দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। অনেক পরিবার তিন বেলার মধ্যে দুই বেলা খেয়ে কোনো রকমভাবে দিন পার করছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া এসব উপজেলার অনেক পরিবার বাড়িঘর হারিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে রিকশা চালিয়ে অথবা নিম্ন আয়ের জন্য কোনো রকম সংসার নিয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে গত ২ যুগ ধরে। তারা জানে না নদীগর্ভে বিলীন হওয়া বাড়িগুলো ফিরে পাবে কি না। এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ।