দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধ হয়েছে। এতে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদু্যৎ কেন্দ্রে উৎপাদন কমেছে ৫০ মেগাওয়াট।
১২০৯ নং ফেইজের উত্তোলনযোগ্য কয়লা শেষ হওয়ায় গত রোববার থেকে কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধ করা হয়। যন্ত্রপাতি স্থাপন করে নতুন ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হতে দুই মাস পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কয়লা উত্তোলন। এ কারণে আপৎকালীন সময়ে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদু্যৎ কেন্দ্রে বিদু্যৎ উৎপাদন ৩০০ মেগাওয়াট থেকে কমে এখন উৎপাদন হচ্ছে ২৮০ মেগাওয়াড।
খনি কর্তৃপক্ষ বলছে, খনির নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে ফেইজের উত্তোলন যোগ্য কয়লা শেষ হলে নতুন ফেইজ তৈরির জন্য কয়লা উত্তোলন বন্ধ করা হয়। এই কাজের ধারাবাহিকতায় ১২০৯নং ফেইজের উত্তোলন যোগ্য কয়লা শেষ হওয়ায় কয়লা উত্তোলন বন্ধ করা হয়। নতুন ১৪১৪নং ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থাপন করে চলতি বছরের আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ফের উৎপাদন শুরু হবে। এ ছাড়া বড়পুকুরিয়া তাপ বিদু্যৎ কেন্দ্র পরিচালনার জন্য এক লাখ ৭৫ হাজার টন কয়লা আপৎকালীন মজুদ রয়েছে।
এদিকে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদু্যৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, চলতি বছরের আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ লাখ ৫০ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন। কিন্তু আপৎকালীন মজুদ এক লাখ ৭৫ হাজার টন হওয়ায় তাপ বিদু্যৎ কেন্দ্রের ৪৫ থেকে ৫০ মেগাওয়াড উৎপাদন কমিয়েছে। ১নং ইউনিটে ৮০ মেগাওয়াট থেকে কমিয়ে ৬০-৬৫ মেগাওয়াট ও ৩নং ইউনিটে ২৫০ মেগাওয়াট থেকে কমিয়ে ২২০ মেগাওয়াট উৎপাদন করা হচ্ছে।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, খনির নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে একটি ফেইজ থেকে নতুন ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে তিন মাস সময় প্রয়োজন হয়। এজন্য কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধ থাকে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, চলতি বছরের আগস্ট মাসের শেষদিকে নতুন ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হবে।