রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে অভয়নগরে মানববন্ধন

ভালুকায় পলস্নী বিদু্যৎ সমিতি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন কমিটি হওয়ায় আনন্দ মিছিল ঝিনাইদহে সাংবাদিক লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশ | ০৩ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
অভয়নগরে রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ, ভালুকায় পলস্নী বিদু্যৎ সমিতি কর্মকর্তা-কর্মচারী বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করায় আনন্দ মিছিল, ঝিনাইদহে সাংবাদিক লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে নির্বাহী প্রকৌশলীর প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা। স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর- অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি জানান, যশোরের অভয়নগরে একমাত্র রেলস্টেশনের নাম নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন। এই স্টেশন যশোর ও খুলনা জেলার মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত। আর সেই স্টেশনকে কেন্দ্র করে নওয়াপাড়া বাজারে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় বিভিন্ন শিল্প-কারখানাসহ হাজারের অধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ শত শত মানুষের যাতায়াতের একমাত্র বাহন ট্রেন বা রেল। আর সেই রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে অভয়নগরবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করাসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নওয়াপাড়া রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে অভয়নগরবাসীর ব্যানারে যশোর-খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়া বাজারে শতাধিক ট্রেনযাত্রী, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. ফারুক হোসেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পার্থ প্রতীম সুর, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হায়াত রুম্মান, সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন সিরাজ, নওয়াপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আলম সাজিদ, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আব্দুলস্নাহ আল নোমান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারাজী আরিফুল ইসলাম অনিক, ব্যবসায়ী মেহেদী সবুজ, চাকরিজীবী আহমেদ ফয়সাল প্রমুখ। এ সময় বক্তারা রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, দ্রম্নত সময়ের মধ্যে নওয়াপাড়া রেলস্টেশন থেকে ই-টিকিটিং সুবিধা ও সব আন্তঃনগর ট্রেনে নওয়াপাড়া থেকে এসি চেয়ার ও এসি শোভনে টিকিট বুকিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এছাড়া যাত্রীদের সঙ্গে ট্রেনের ভেতরে কর্তব্যরত টিটিইদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের বিচার করতে হবে। সব অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন তারা। মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে আন্দোলনকারীদের উদ্যোগে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ এবং নওয়াপাড়া রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষের কাছে পৃথক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহের ভালুকায় ময়মনসিংহ পলস্নী বিদু্যৎ সমিতি-২-এর কার্যালয়ে বিভিন্ন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিদু্যৎ ব্যবস্থ্যা সচল রেখে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন চলছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ময়মনসিংহ পলস্নী বিদু্যৎ সমিতি-২-এর কার্যালয় চত্বরে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাজে যোগ না দিয়ে বিভিন্ন দাবি সংবলিত ব্যানার-ফ্যাস্টুন নিয়ে ও বিভিন্ন স্স্নোগান দিয়ে এক সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় কর্মবিরতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন জোনাল অফিসের এজিএম, ডিজিএমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী। সারাদেশের ৮০টি পলস্নী বিদু্যৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারী একযোগে এ দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ কর্মবিরতি পালন করছে বলে জানান আন্দোলনরত বক্তারা। স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জানান, সম্মেলনের দেড় বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গত সোমবার বিকালে শহরের লোকনাথ উদ্যান (ট্যাংকের পাড়) থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। পরে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দিয়েছেন। এই কমিটি নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, আগামী দিনে যে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরীর নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থেকেই সরকারবিরোধী অপশক্তিকে মোকাবিলা করবে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন, নবগঠিত কমিটির সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, ডা. মো. আবু সাঈদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল আলম খোকন, অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতান খানম নিশাত, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. মহসিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এমবি কানিজসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতারা। ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলীর হাতে সময় সংবাদের সাংবাদিক লোটাস রহমান সোহাগ লাঞ্ছিত ও ক্যামেরার মেমোরি কার্ড ভাঙচুরের ঘটনায় নির্বাহী প্রকৌশলীর প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাব ও টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে জেলার কর্মকর্তা, সাংবাদিক ছাড়াও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম রায়হান, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান বাবলু, ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ নাসিম আনসারী, সাবেক সভাপতি এম সাইফুল মাবুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম জোয়ারদার বাবলু, মাহমুদ হাসান টিপু, আজাদ রহমান, ঝিনাইদহ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শিপলু জামান, ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের নির্বাহী সদস্য আসিফ ইকবাল কাজল, সাদ্দাম হোসেন, ঝিনাইদহ রিপোটার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক শাহীদুর রহমান সন্টু, প্রেস ইউনিটির সভাপতি শহিদুল এনাম পলস্নব, বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি স্বপন মাহমুদ, বিহঙ্গ সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর আলম লিটন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ মিজান, উদীচীর জেলা সভাপতি কে এম শরিফ, সহ-সভাপতি শামীম আহম্মেদ, উপদেষ্টা স্বপন বাগচী, জেলা কমিটির সহ-সম্পাদক আরিফুল ইসলামসহ অন্যরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঝিনাইদহ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান। বক্তারা সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রম্নত ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলামের প্রত্যাহার ও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।