বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের বাইশারী- আলীক্ষ্যং সড়কে বাইশারী উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ এবং বাইশারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় লাগোয়া রাস্তাটি বিগত বছরের বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টির কারণে দেবে যায়। ফলে ফাটলসহ রাস্তাটির অধিকাংশ পার্শ্ববর্তী খেলার মাঠে মাটি সরে গেছে। যার ফলে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় লোকজন চলাচল করছিল। গত সপ্তাহে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ রাস্তাটি পূর্ণ মেরামতের জন্য গাইড ওয়াল নির্মাণে ভেকু মাটি সরানোর কাজ শুরু করে। কাজ শেষ না হওয়ার আগে পার্শ্ববর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিইডিপি ৪ ভবনের গাইড ওয়ালসহ মাটি ধসে এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে দুটি ভবন। যে কোনো মুহূর্তে ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিদ্যালয়ের ভবন ২টি। তাই জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছে হাজারো শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা।
সরেজমিন গিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রুবায়েদ নাহিদ নুরসহ স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- বাইশারী বাজার সংলগস্ন সড়কটির পার্শ্ববর্তী পূর্ব পাশে রয়েছে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একটি হলো বাইশারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং অপরটি বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। তার পাশেই চলছে সড়ক উন্নয়ের কাজ। গাইড ওয়াল নির্মাণের জন্য মাটি সরাতে গিয়ে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন রয়েছে ঝুঁকিতে। গত তিনদিনের ভারী বর্ষণে বাউন্ডারি ওয়ালসহ ভবনের পাশে এখন ফাটল ধরেছে। এ ছাড়া টানা বর্ষণে মাটি কাটায় পুরো রাস্তাটি ধসে গিয়ে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলম বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) অবহিত করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম জানান, বিগত ২ বছর যাবৎ সড়কটির ফাটল দেখা দিয়েছে। এতদিন পর্যন্ত কাজ না করে বর্ষা মৌসুমে তাও অতিবৃষ্টিতে মাটি কাটায় আজ এ অবস্থা। দ্রম্নত ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের ঘটনা।
বাইশারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হাফছা বেগম জানান, তার স্কুলে রয়েছে সব শিশু। স্কুলের সামনেই ফাটল। বিষয়টি তিনি শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করেছেন।
ইউএনও মো. জাকারিয়া বলেন, খবর পেয়ে তিনি দ্রম্নত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বিষয়টি সরেজমিন দেখে হতবাক। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিস্তারিত জানান।
এ ছাড়া সরেজমিন পরিদর্শন করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ত্রি রতন চাকমা ও বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলম কোম্পানি।
সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের এসডিই ফারহান আহমেদ। তিনি বলেন, দ্রম্নততম সময়ে কাজটি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দীন জানান, বিষয়টি জানার পরপর ঘটনাস্থলে প্রকৌশলীকে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে কাজ চলমান রয়েছে। মেরামতের জন্য মালামাল পৌঁছে গেছে।