শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১

ডোমারে মা ও শিশু ভাতাভোগীদের টাকা যাচ্ছে হ্যাকারের অ্যাকাউন্টে

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি
  ০২ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
ডোমারে মা ও শিশু ভাতাভোগীদের টাকা যাচ্ছে হ্যাকারের অ্যাকাউন্টে

নীলফামারীর ডোমারে মা ও শিশু ভাতা সহায়তা তহবিল থেকে দেওয়া ভাতাভোগীদের টাকা যাচ্ছে হ্যাকারের অ্যাকাউন্টে। মা ও শিশু ভাতাভোগীদের নগদ কিংবা বিকাশ নাম্বার দেওয়া থাকলেও টাকা পাঠানো হচ্ছে অন্য নাম্বারে। সুবিধাভোগীদের দেওয়া মোবাইল নাম্বারে টাকা না দিয়ে নতুন কৌশলে টাকা পাঠাচ্ছে ভৌতিক মোবাইল নাম্বারে। এভাবে ইতিমধ্যে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক লাখ টাকা।

এ ঘটনায় গত দুই দিন ধরে শতাধিক ভাতাভোগী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে ভিড় জমাচ্ছেন। তবে অফিসে অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা।

বামুনিয়া ইউনিয়নের ভাতাভোগী রুপালি রানী জানান, 'এর আগে আমার মোবাইল নাম্বারে দুইবার টাকা পেয়েছি। এবার অফিসে এসে জানতে পারি অন্য একটি মোবাইল নং ০১৯৭৮৬৭৩৭৯৬ নাম্বারে টাকা পাঠানো হয়েছে। অফিস থেকে জানানো হয় আপনারা থানায় জিডি করেন।' একই ইউনিয়নের সনাতন রায়ের স্ত্রী ইতি রানী ইতিপূর্বে চারবার টাকা পেয়েছেন। এবারে টাকা না পেয়ে অফিসে গিয়ে জানতে পারেন অন্য একটি নাম্বারে টাকা পাঠানো হয়েছে। ডোমার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের নুসরাত জাহান রোশনি জানান, 'আমার অনলাইন ফরমে দেওয়া আছে ০১৭৮০৫২৩৯২৪ নং মোবাইল নাম্বার। অথচ টাকা পাঠানো হয়েছে ০১৮৩৬৯৭৭৭৯৬ নাম্বারে। অফিসে এসে জানতে পারি ইতিপূর্বে আমার নাম্বারে দুইবার টাকা পাঠানো হয়েছে। আমি একবারও পাইনি।'

ইতিপূর্বে বিভিন্ন ভাতাভোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে ওটিপি নাম্বার সংগ্রহ করে টাকা তুলে নিত হ্যাকাররা। কিন্তু এবার নাম্বার পরিবর্তন হওয়ার ঘটনায় ভাতাভোগীদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি নাম্বারই রবি এবং বাংলালিংক নাম্বারের নগদ অ্যাকাউন্ট। চলতি অর্থ বছরে ডোমার পৌরসভাসহ মা ও শিশু ভাতার নতুন কার্ড হয়েছে ১ হাজার ২১০টি। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কার্ড হয়েছিল ২ হাজার ৯৮৮ জনের। তিন বছর পরপর তা বিলুপ্ত হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বামুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মমিনুর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নে অনেকের এমন হয়েছে। অনলাইন আবেদনে দেওয়া মোবাইল নাম্বারের সঙ্গে টাকা পাঠানো মোবাইল নাম্বারের কোনো মিল নেই। এটা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বলতে পারবেন।

এ বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুন্নাহার শাহাজাদী বলেন, 'নাম্বার পরিবর্তন হওয়ার বিষয়টি আমরাও বুঝছি না। বিষয়টি নিয়ে আমি থানায় জিডি করব এবং ভাতাভোগীদেরও জিডি করার পরামর্শ দিয়েছি।'

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম জানান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে