কক্সবাজারের চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত চলাকালে বাদী ও বিবাদীপক্ষ তুমুল বাগ্বিতন্ডায় জড়ানোর পর দুইপক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বিবাদীপক্ষ আদালতের এজলাস কক্ষের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর, বিভিন্ন সালিসি মামলার নথিপত্র তছনছও করে।
এমনকি এজলাসে বসে থাকাবস্থায় চেয়ারম্যানকে গালিগালাজও করে বিবাদীপক্ষ। রিদুয়ান নামের এক চৌকিদার (গ্রাম পুলিশ), স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (মেম্বার) আলমগীর ছাড়াও বাদীপক্ষের বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহতও করা হয়। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে গ্রাম আদালত বন্ধ করে তাৎক্ষণিক বিষয়টি মৌখিক ও পরে লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অবহিত করেন চেয়ারম্যান মো. ছালেকুজ্জামান।
এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে চকরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। হামলার সময় আহত পরিষদের গ্রাম পুলিশ রিদুয়ান থানায় এই অভিযোগ জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী সদস্য খালেদা বেগম বলেন, 'ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত চলাকালে বিশৃঙ্খল কর্মকান্ড অতীতে আর কেউ ঘটানোর সাহস করেনি। এই ধরনের ঘটনা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতকে অবজ্ঞা ও অসম্মান করার মতোই। চেয়ারম্যানকে ঘায়েল করাসহ পরিষদের গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।'
এ ব্যাপারে বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছালেকুজ্জামান বলেন, 'ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত চলাকালে একটি ঘটনায় অভিযুক্ত বিবাদীপক্ষ শুরু থেকেই যে অসৌজন্যমূলক আচরণ করাসহ এজলাসের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও বিভিন্ন অভিযোগের নথিপত্র তছনছ করেছে, সেই বিষয়ে তাৎক্ষণিক ইউএনও এবং থানার ওসিকে অবহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে থানায় শনিবার রাতে পরিষদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করা হয়।'