বিশ্বকাপ ক্রিকেট, আইপিপিএল, বিপিএলসহ আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু হলেই সৈয়দপুরে শহরের রেললাইনের দুই ধারে, শহরের পাড়া-মহলস্নার পান-দোকান ও চায়ের দোকানের আড্ডাগুলো এবং ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টের আড্ডাতে পুরোদমে শুরু হয়ে যায় ক্রিকেট খেলার জুয়া। আর এসব জুয়ার আসরে ভিড় জমে যায় কিশোর-যুবকসহ বিভিন্ন বয়সি মানুষের।
এসব আসরে টিভিতে সরাসরি লাইভ খেলা চলাকালীন বিভিন্ন ক্রিকেট টিমের খেলোয়াড়রা কে কত ওভারে কত রান করবেন তা নিয়ে জুয়া ধরেন জুয়াড়িরা। ওভার প্রতি রান সংখ্যা টার্গেট করে ও মোট ওভারে কোন দল কত রান করবে, বোলিং করার সময় ব্যাটস্ ম্যান কত রান করবেন তা নিয়েও জুয়ায় অংশ নিয়ে আসছেন আসক্ত জুয়াড়িরা।
জানা যায়, এক একটি আসরে গ্রাম ও শহরাঞ্চল মিলে সৈয়দপুরে যে কোনো ধরনের ক্রিকেট টুর্নামেন্টে গড়ে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার জুয়া খেলা হয়ে আসছে। শহরের রেললাইনের দুইধারে প্রায় প্রতিদিনই লক্ষ্য করা গেছে, দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত খোলামেলাভাবে জুয়ায় বাজি ধরে অসংখ্য কিশোর-যুবক ও বিভিন্ন বয়সি মানুষ। আর এসব জুয়ায় আসক্তদের পুঁজি করে এক শ্রেণির জুয়াড়ি কম্পিউটার ও ল্যাপটপ নিয়ে আবার কেউ দোকান ও আড্ডাগুলোতে টেলিভিশন লাগিয়ে আসর পরিচালনা করে আসছেন। এসব আসর নিয়ে যেন কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। অথচ এসব জুয়ায় অংশ নিয়ে কিশোর-যুবক ও বিভিন্ন বয়সি মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতির পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। যার ফলে পরিবারগুলোতে নানা রকম ঘটনা ঘটারও খবর মিলছে।
সৈয়দপুর থানার ওসি শাহা আলম জানান, 'আমরা সবসময় তৎপর রয়েছি। তবে কেউ যদি সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেন, তাহলে তাদের গ্রেপ্তার করা সহজ হবে।'