বিনামূল্যে শিশু হৃদরোগী সার্জারি করবে মারেঙ্গো এশিয়া হাসপাতাল
প্রকাশ | ৩০ জুন ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
বাংলাদেশে জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুদের বিনামূল্যে সার্জারি করবে ভারতের দিলিস্নর মারেঙ্গো এশিয়া হাসপাতাল। এছাড়া দরিদ্র ও অসচ্ছল পরিবারের শিশুর চিকিৎসায় যাতায়াত, থাকা খাওয়ার খরচের কিছু অংশ বহন করবে। এ লক্ষ্যে শনিবার রাজধানীর মাতুয়াইলের শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও দিলিস্নর মারেঙ্গো এশিয়া হাসপাতাল যৌথভাবে স্ক্রিনিং কার্যক্রম পরিচালনা করে।
কয়েক ধাপে স্ক্রিনিং কার্যক্রম পরিচালনার শেষে ৮৪ জন শিশুর মধ্যে ৫৪ জন শিশুর হার্টে ছিদ্রসহ নানা ধরনের জটিলতা পাওয়া গেছে। এদের জন্মগত হার্টের চিকিৎসায় সার্জারির পরামর্শ দিয়েছেন দিলিস্নর মারেঙ্গো এশিয়া হাসপাতাল প্রোগ্রাম ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর ও পেডিয়াট্রিক থোরাসিক সার্জন ড. রাজেশ শর্মা।
শনিবার মাতুয়াইলের শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পেডিয়াট্রিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ওয়াহিদা খাতুনের সভাপতিত্বে স্ক্রিনিং কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. এমএ মান্নান।
এ সময় পেডিয়াট্রিক থোরাসিক সার্জন ড. রাজেশ শর্মা সঙ্গে স্ক্রিনিং কার্যক্রম পরিচালনার অংশ নেন দিলিস্নর মারেঙ্গো এশিয়া হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও পেডিয়াট্রিক সার্জন ডা. মনিষা চক্রবর্তী, মাতুয়াইলের শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আহমেদ নাজমুল আনাম প্রমুখ।
মাতুয়াইলের শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হোসেন বলেন, 'আমরা কয়েক ধাপে স্ক্রিনিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। সবশেষে ৮৪ জনের মধ্যে ৫৪ জন শিশুর হার্টে ছিদ্রসহ নানা ধরনের জটিলতা পাওয়া গেছে। ভারত বিখ্যাত চিকিৎসক ডা. রাজেশ শর্মা তাদের সার্জারির পরামর্শ দিয়েছেন।
দিলিস্নর মারেঙ্গো এশিয়া হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও পেডিয়ট্রিক সার্জন ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশে মোট জন্ম নেওয়া শিশুর ১ শতাংশ জন্মগত হার্টের রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন। এদের চিকিৎসা বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যবিভাগের বিনামূল্যে করা উচিত। এদের চিকিৎসার জন্য একটি স্কিমও রাখা যেতে পারে। ১ থেকে ৩ বছরের মধ্যে শিশুদের এ চিকিৎসা না করালে মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।
জন্মগত হার্টের রোগের লক্ষণ প্রসঙ্গে ডা. মো. নাজমুল হোসেন বলেন, শিশু কিছু সময় দুধ চুষেই হাপিয়ে যায়, দুধ খাওয়া বন্ধ করে দেয় কিংবা খাওয়ার সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায় এবং ঘাম হয়। শিশুর ওজন বৃদ্ধির হার বয়সের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে এবং শিশুর বারবার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে আশংকা থাকে তার হার্টের ত্রম্নটি আছে।
এছাড়া জ্বর বা কাশি ছাড়া, ক্রমাগত দ্রম্নত শ্বাস-প্রশ্বাস এবং বুকের পাজর বা খাঁচা দেবে যাওয়া; শিশুর হৃদস্পন্দন খুব দ্রম্নত চলা; শিশুর ঠোঁট, জিহ্বা এবং নখ নীলাভ হওয়া বা কান্নার সময় নীল হয়ে যাওয়া হৃদরোগের আরও কিছু লক্ষণ। জন্মগত হৃদরোগের কারণে ত্বক, নখ, জিহ্বা এবং ঠোঁটের রঙ পরিবর্তন হতে পারে। এমন সব লক্ষণ প্রকাশ পেলে দ্রম্নত হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।