জীবননগরে ফের হেলমেট বাহিনীর তান্ডব ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে হেলমেট বাহিনী একের পর এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটিয়েই চলছে। গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার মনোহরপুর আলা মোড় নামক স্থানে মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খানকে (সুরোদ্দীন) কুপিয়ে জখম করেছে। এর আগে একইভাবে গত ২৮ মে উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নানকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হেলমেট পরিহিত দু'জন ব্যক্তি। এই দুই ইউপি চেয়ারম্যান জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের পদধারী প্রভাবশালী নেতা। স্থানীয়রা জানান, মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খাঁন রাত ৮টার দিকে আলা মোড় থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। মোড় থেকে অল্প কিছু দূর যাওয়ার পর পেছন থেকে মোটর সাইকেলযোগে হেলমেট পরিহিত দু'জন ব্যক্তি তার পিঠের ডান দিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে পালিয়ে যায়। এ সময় চেয়ারম্যানের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন এবং তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্‌) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ, জীবননগর থানার ওসি এস এম জাবীদ হাসান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্‌) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ বলেন, 'চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউপির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খাঁন শুক্রবার অজ্ঞাত ব্যক্তি দ্বারা আহত হয়েছেন। পেছন থেকে কে বা কারা এসে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। সংশ্লিষ্ট থানা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসেছে। ডিবি টিমসহ আমরা জেলা থেকে এসেছি। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমরা প্রত্যাশা করছি, দ্রম্নত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পারব।' উলেস্নখ্য, গত ২৮ মে সকালে দর্শনা থেকে ব্যক্তিগত কাজ শেষে মোটর সাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার সময় দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের কোপে রক্তাক্ত জখম হন জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান। তিনি বর্তমানে ঢাকার মহাখালীতে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এক মাসের মধ্যে দুই চেয়ারম্যান ওপর হামলার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।