সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে রয়েছে মাত্র একটি গণশৌচাগার। যা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা ও অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন উপজেলায় আসা সর্বসাধারণ।
গত শনিবার সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলা পরিষদের সামনে প্রায় ৩০-৪০টি দোকান রয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও নানা কাজে আসা মানুষের জন্য উপজেলা পরিষদের বাইরে রয়েছে ওই গণশৌচাগারটি, যা ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে থাকা গণশৌচাগারটির বর্জ্যের দুর্গন্ধে টয়লেটে যাওয়াই যায় না। উপজেলা পরিষদে আসা শামীম হোসেন বলেন, বৃহৎ এই উপজেলায় প্রাকৃতিক কাজ সারার মতো কোনো স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার নেই। যেটা আছে তার অবস্থাও বেহাল। পথচারীদের সতর্ক অবস্থায় পথ পাড়ি দিতে হয়। এটা প্রশাসনের গুরুত্বসহকারে দেখা দরকার।'
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা ড. গোলাম মোস্তফা বলেন, অনেক আগে শৌচাগারটি নিয়মিত পরিষ্কার করলেও এখন তা অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে। পাকা পলেস্তরাও খসে পড়ছে। যে কোনো সময় প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে আসা ব্যক্তির ওপর এসব পলেস্তরা খসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তা ছাড়া টয়লেটের দরজা নাই, দুর্গন্ধে ব্যবহার অযোগ্য। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের কাছে ওই জায়গায় নতুন শৌচাগার নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী কাজল দাস বলেন, 'স্বাস্থ্যসম্মত পাবলিক শৌচাগার না থাকায় উপজেলায় নানা কাজে আসা সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রায় ১৫ বছর আগে এই শৌচাগারটি নির্মাণ হয়েছে। এখন জরাজীর্ণ এবং অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে ওই জায়গায় নতুন শৌচাগার নির্মাণের জন্য দাবি জানাচ্ছি।'
জেলা পরিষদের সদস্য গোলাম হোসেন সুমন সরকার বলেন, 'শৌচাগারটি জরাজীর্ণ এবং বাজে অবস্থায় আছে। সেজন্য বরাদ্দের মাধ্যমে সংস্কার করা হবে।'
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, জেলা পরিষদের জায়গায় গণশৌচাগারটি সংস্কার করার জন্য জেলা পরিষদকে অবহিত করা হবে।