অবশেষে নিরুপায় হয়েই আম ব্যবসায়ীদের নিয়মে ৫০ কেজিতে (ক্যারেটসহ) এক মণ হিসাবেই আম বিক্রি করছেন নওগাঁর সাপাহারের আমচাষিরা। অনেক আন্দোলন, প্রশাসনিকভাবে অনেক দেন-দরবার, এমনকি খাদ্যমন্ত্রীর ৪৮ কেজিতে এক মণ নির্ধারণের সিদ্ধান্তকেও উপেক্ষা করে ব্যবসায়ীরা আমচাষিদের এক রকম জিম্মি করেই উভয়ের সম্মতিতে এখন তারা পূর্বের ন্যায় দুই কেজি আম ছাড় দিয়ে ৫০ কেজিতে এক মণ হিসাবে আম কিনছেন। উপায়ান্ত না পেয়ে পচনশীল কাঁচামাল আম সংরক্ষণের কোনো বিকল্প না থাকায় চাষিরাও ব্যবসায়ীদের সিদ্ধাকেই গুরুত্ব দিয়ে তাদের কষ্টের উৎপাদিত ফসল আম এখন পূর্বের নিয়মেই বিক্রি করেছে।
এ বিষয়ে সাপাহার আম ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন রিফাতের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান যে, হঠাৎ করে ব্যাপারীরা পূর্বের চেয়ে ৫-৬ কেজি আম কম পাওয়ায় তারা আম কেনার আগ্রহ হারাচ্ছিল। আবার ৫২ কেজিতে মণ ধরায় আমচাষিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। তাই আম ক্রয় বন্ধ না রেখে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের সম্মতিতে দুই কেজি ছাড় দিয়ে ৫০ কেজিতে (ক্যারেটসহ) মণ হিসেবে আম ক্রয়-বিক্রয় চালু করা হয়েছে। এখন চাষিরাও সহজে আম বিক্রি করতে পারছেন। আবার ব্যপারীরাও মনভরে আম ক্রয় করছেন। বর্তমানে চাষি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আর কোনো দ্বন্দ্ব নেই বলেও তিনি জানিয়েছেন।
উপজেলার দিঘীর হাটের আমচাষি নুহু মিয়া, বাখরপুর গ্রামের মতিউর রহমান, আইহাইএর বাবলু জানান, গত দুই দিন আম বিক্রি করতে না পারায় আম নিয়ে দম প্রায় বন্ধ হয়ে আসছিল। এখন উভয়ের সম্মতিতে দুই কেজি ছাড় দিয়ে ৫০ কেজিতে মণ হিসাবে আম বিক্রি করেছেন। আমচাষিরা একটু ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বর্তমানে পূর্বের ন্যায় সাবেক গতিতে আম ক্রয়-বিক্রয় চলছে বলেও তারা জানিয়েছেন।