কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল শান্তিবাজার এলাকায় গত ২৩ মে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশারারফসহ তার বাহিনীর হাতে নৃশংসভাবে খুন হন ফারহাদুল ইসলাম আরজু (২০)। এর ১৫ দিনের মাথায় গত ৪ জুন উত্তর ধুরুং ইউনিয়নে মগলালপাড়া এলাকায় মোহাম্মদ তারেক (২৮) নামে এক দোকানিকে খুন করে রাস্তায় মরদেহ রেখে পালিয়ে যায় ছাত্র সংগঠনের নাম ব্যবহারকারী নেতারা। এই দুই ঘটনার দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে সঠিক বিচার না পাওয়ার আশঙ্কার কথা বলে চরম ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছে নিহতদের পরিবার। একই সঙ্গে জড়িত খুনিদের দ্রম্নত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে নিহত ফারহাদের মা আমেনা বেগমের অভিযোগ, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশারারফ হোসাইন ও তার পরিবারসহ সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। একটি এনজিও মিটিং চলাকালে পূর্বশত্রম্নতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশারারফ হোসাইনের ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলে খুন হন আরজু। ঘটনার পর থেকে পুলিশ বার বার আশ্বাস দিয়েছে দ্রম্নত গ্রেপ্তার করা হবে সেই মোশারারফকে। কিন্তু মাস পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। উল্টো আসামি পক্ষের লোকজন হত্যা জি, আর ৫০/২৪ মামলা প্রত্যাহার করতে বাদীকে মারধর এবং বাদীদের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে। নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছেন তারা। এতে ভয় ও শঙ্কার মধ্যে দিনপার করছেন পরিবার ও স্বজনরা। এদিকে বাদীকে মারধরের ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার প্রদান করেছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে দোকানি মোহাম্মদ তারেক খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্র সংগঠনের নাম ব্যবহারকারী নেতাদের গ্রেপ্তার না করায় ক্ষোভ জানিয়েছে এলাকাবাসী। এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলসহ সড়ক অবরোধও করেছেন লোকজন।
কুতুবদিয়া থানার ওসি গোলাম কবির এ প্রসঙ্গে বলেন, এ দুই খুনের ঘটনার পরেই আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মামলা করে আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করি। এ দুই খুনের ঘটনায় দু'জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য।