রংপুরের গঙ্গাচড়ায় উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা মোকাররম হোসেন সুজনের শপথ গ্রহণের উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচনী ট্রাইবু্যনাল। গত বুধবার বিকালে নির্বাচনী ট্রাইবু্যনাল, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-১ বিচারক আবদুল মালেক শপথ গ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আদেশ বাতিল করার আবেদন শুনানি হয়েছে। পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিনের নির্বাচনী ট্রাইবু্যনালে মামলার প্রেক্ষিতে শপথ গ্রহণের উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী ট্রাইবু্যনাল আদালতে আগামী ৩০ জুন পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়। এর আগে ট্রাইবু্যনাল শুনানির জন্য ২২ জুলাই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে বিজয়ী প্রার্থীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আগামী ৩ জুলাই ধার্য্য করার কারণে শুনানির তারিখ এগিয়ে নিয়ে তা পরিবর্তন করা হয়।
নব-নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজনের আইনজীবী জোবাইদুল ইসলাম বুলেট জানান, সুজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর গ্রেজেট প্রকাশিত হয় ৪ জুন। আইন অনুযায়ী গেজেট প্রকাশিত হওয়ার এক মাসের মধ্যে নির্বাচিতদের শপথগ্রহণ হওয়ার কথা। কিন্তু পরাজিত প্রার্থী রুহুল আমিন অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচনী ট্রাইবু্যনালে মামলা করেন। এতে দুইপক্ষের বক্তব্য না শুনে একতরফাভাবে শপথ গ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা ন্যায় বিচারের পরিপন্থি। সে কারণে দ্রম্নত শুনানির জন্য বিচারকের কাছে আবেদন করা হয়। আদালতের বিচারক আগামী ৩০ জুন শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। তিনি ন্যায্য বিচার পাবেন বলে প্রত্যাশা করেন।
অন্যদিকে, পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মামলার বাদী আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিনের আইজনীবী অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক বলেন, আদালত শপথ গ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আগামী ২২ জুলাই শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল। এ অবস্থায় বিবাদীর শুনানিী আবেদনের উপর শুনানি হয়েছে। শুনানি তারিখ এগিয়ে নেওয়ার আবেদনের বিষয়ে আদালত তার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বলেও তিনি জানান।