চট্টগ্রামের পটিয়ায় অনুমোদনহীন বেকারি পণ্য বিক্রি ও ওজনে কম দেওয়ায় অর্ধ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদিকে, মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনজনের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। আঞ্চলিক বু্যরো ও উপজেলা প্রতিনিধির পাঠানো বিস্তারিত খবর-
চট্টগ্রাম বু্যরো জানায়, চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিএসটিআই সনদ ছাড়া বেকারিপণ্য তৈরির করায় মকবুল শাহ ফুডস নামের একটি বেকারিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার পটিয়া পৌর সদরের কাগজীপাড়া এলাকায় মকবুল শাহ ফুডস বেকারির কারখানায় এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) পস্নাবন কুমার বিশ্বাস।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই বেকারি কারখানাটি বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরি করে আসছে। উপজেলায় তাদের কয়েকটি শাখাও রয়েছে। স্থানীয় ও ভোক্তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করেন বিএসটিআই ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় কাগজীপাড়া এলাকায় অবস্থিত কারখানাটিতে যৌথ অভিযানে অনুমোদনহীন পণ্য মজুত ও বিক্রয় করার অপরাধে ২৫ হাজার টাকা এবং ওজন ও পরিমাণ কম দেওয়ায় আরও ২৫ হাজার টাকাসহ মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি পস্নাবন কুমার বিশ্বাস বলেন, স্থানীয় ভোক্তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পৌর সদরের কাগজীপাড়া এলাকায় মকবুল শাহ ফুডস বেকারির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটির বিএসটিআই সনদ নেই। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেকারি পণ্য তেরি করে বিক্রি করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ কারণে কারখানা মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তা প্রসিকিউশন পরিচালনা করেন ফিল্ড ইন্সেপক্টর মাহফুজুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের পেশকার সুদীপ্ত দাশ রানা।
হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনজনকে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার রহমান এই দন্ডাদেশ দেন।
কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার গালা ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের উত্তম কুমার সরকারের ছেলে সজিব সরকার (২৪), শহীদ মোলস্নার ছেলে সোহাগ মোলস্না (২৮) এবং জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রিফাদ হোসেন (২৬)। এদের মধ্যে সজিবকে ছয় মাস এবং সোহাগ ও রিফাদকে তিন মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার রহমান বলেন, মাদকদ্রব্য সেবনের দায়ে একজনকে ছয়মাস ও দুইজনকে তিনমাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।