সাতক্ষীরার মেধাবী শিক্ষার্থী ফারহানার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ধোঁয়াশায় পরিণত
প্রকাশ | ২৮ জুন ২০২৪, ০০:০০
আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
অসহায় গরিব ঘরে জন্মগ্রহণ করলেও থেমে থাকেনি তার লেখাপড়া। শত কষ্টের মাঝেও মেয়েকে ডাক্তার বানিয়ে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবেন বলে এক বুক আশা বাঁধেন হত দরিদ্র পিতা মিজানুর রহমান। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বড়দল গ্রামের বাসিন্দা হলেও কাজের সন্ধানে খুলনায় বসবাস করতে হয় তাকে।
হতদরিদ্র পিতা মিজানুর রহমান কান্না জড়িত কণ্ঠে এ প্রতিবেদককে বলেন, ২য় দফায় ৩ জুন চিকিৎসা শিক্ষা অধিদপ্তরে বেসরকারি এমবিবিএস ডাক্তার পদে আবেদন করেন। আবেদন পরবর্তী ২৪ জুন অসহায় পরিবারের কন্যা ফারহানা নিগার সুমি সাউথ অ্যাপোলো মেডিকেল কলেজ, বরিশালের জন্য নিশ্চিত হয়েছে। অসহায় পরিবার সকল সদস্যবৃন্দ ও অসহায় পরিবারের কন্যা ফারহানা ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকলেও মুহূর্তের মধ্যে ধোঁয়াশায় পরিণত হয় তাদের স্বপ্ন। হতদরিদ্র পিতার আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় মেয়ের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন যেন শুধু স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে।
মেডিকেল শিক্ষার্থী ফারহানা নিগার সুমি এ প্রতিবেদককে বলেন, 'আমার পিতা একজন হতদরিদ্র অসহায় মানুষ। তিনি শত কষ্ট করে কামলা খেটে আমাকে লেখাপড়া করিয়াছেন। কিন্তু বর্তমানে মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করানোর মতো আর্থিক সচ্ছলতা তার নেই। তাই তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও সমাজের দাতব্য প্রতিষ্ঠান এবং বিত্তশালী মানুষের আশু সহযোগিতা কামনা করেন।'
চিকিৎসা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষা বর্ষে অনলাইনে সর্বমোট ১৪০৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। যার মধ্যে বিদেশি শিক্ষার্থী ৪৪১ জন ও দেশি শিক্ষার্থী ৯৬৩ জন। এরমধ্যে হতদরিদ্র অসহায় ও মেধাবী কোটায় মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করে দেশের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চান গরিব অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মেধাবী মেডিকেল শিক্ষার্থী ফারহানা নিগার সুমি।