দেশের তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা এবং তামাকজনিত মৃতু্যর মিছিল ঠেকাতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সদস্যরা। বুধবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে (এল ডি হল) সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত 'বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সভায় তারা এই আহ্বান জানান।
সভায় সংসদ সদস্যরা বলেন, 'ধূমপান মুক্ত' স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে দেশকে অবশ্যই তামাকমুক্ত করতে হবে। বাংলাদেশে তামাক এবং তামাকজাত পণ্যের বিস্তার হয়েছে ভয়াবহভাবে। দেশে ১৫ বছরের ওপর ধূমপায়ীর সংখ্যা শতকরা ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং এর নিচে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ শিশুই ধূমপায়ী।
পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ এমপি। তিনি বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর যে ঘোষণা, তা বাস্তবায়নে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা জরুরি। তাই আমরা আশাবাদী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী শিগগিরই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিবেন।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে তিন কোটি ৭৮ লাখ লোক তামাক ব্যবহার করে এবং প্রতিদিন ৪৪১ জন মানুষ মারা যায়। তাই জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সংসদ সদস্যদের আহ্বান জানান।
সভায় সংসদ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পংকজ নাথ, শবনম জাহান, দ্রৌপদী দেবী আগারওয়াল, জারা জাবীন মাহবুব, কানন আরা বেগম, মোসা. ফারজানা সুমি, সাবেরা বেগম, পারুল আক্তার, কোহেলী কুদ্দুস, আশ্রাফুন নেছা এবং লায়লা পারভীন।
সভা সঞ্চালনা করেন- বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং'র সমন্বয়ক ড. রফিকুল ইসলাম। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর রিজিওনাল ডিরেক্টর ড. মাহিন মালিক, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের পলিসি লিড মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং এর কর্মকর্তারা।