শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১

ক্ষেতলালে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে প্রতিবন্ধীর পরিবার

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
  ২৭ জুন ২০২৪, ০০:০০
ক্ষেতলালে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে প্রতিবন্ধীর পরিবার

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের সান্তাহার গ্রামের নাবালক প্রতিবন্ধী ইছাশাহর বলাৎকারের ঘটনায় আদালতে নারী শিশু ও নির্যাতন মামলা করেন পিতা আনিছুর রহমান। এ ঘটনায় সান্তাহার এলাকার মৈয়ম শেরকোল গ্রামের মালেকুল ইসলামের ছেলে রবিউল (১৯), অফিরুদ্দীনের ছেলে কেকা (২৩), সাইফুল ইসলামের ছেলে স্বাধীনের (১৮) নামে আদালতে মামলা করেন প্রতিবন্ধী ইছাশাহর বাবা। মামলার পর থেকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে অভিযুক্তরা।

ইছাশাহর বাবা বাদী আনিছুর রহমান বলেন, 'আমার ছেলের বলাৎকার ঘটনা নিয়ে মেম্বার, চেয়ারম্যানের কাছে বহুবার ঘুরেছি। ন্যায়বিচার না পেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হই। আমি আমার প্রতিবন্ধী নাবালক ছেলের ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।'

জয়পুরহাট জেলা দায়রা জজ ও নারী শিশু ও নির্যাতন আদালতে মামলাটি তদন্তনাধীন রয়েছে। ১৫১/২০২৩ পিটিশন কেস দাখিল করিতে একটু বিলম্ব হয়। গত ১৯/৬/২০২৩ ইং ঘটনার পর থেকে ইছাশাহর চিকিৎসা করতে অনেক অর্থ ব্যয় করেছেন তার পরিবার। তাদের সংসারে একমাত্র উপার্জন করে প্রতিবন্ধীর পিতা আনিছুর রহমান; জমি নেই, অতি গরিব মানুষ। এ অবস্থায় প্রতিবন্ধী ইছাশাহর উন্নত চিকিৎসার অর্থ সংকটে পড়েছেন তিনি।

অভিযুক্তরা বলেন, এই ঘটনা নিয়ে অনেকবার ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে বসে মীমাংসার কথাও হয়েছিল।

মামুদপুর ইউপি সদস্য (ফটু) বলেন, এ ঘটনা নিয়ে অনেকবার বসেও মীমাংসা করা সম্ভব হয়নি। বড়াইল ইউপি সদস্য আবদুস সামাদ বলেন, 'বিষয়টি ভুক্তভোগীর বাবা আনিছুর রহমান আমাকে জানান। আমি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।' মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ বু্যরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) শরিফুল ইসলাম বলেন, 'আমার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। মেডিকেল রিপোর্ট হাতে পাইনি। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আদালতে দাখিল করা হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে