জাবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা দুই বহিরাগত আটক
প্রকাশ | ২৭ জুন ২০২৪, ০০:০০
জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে পথরোধ করে হেনস্তা ও ছিনতাই চেষ্টাকালে বহিরাগত দু'জনকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী হলেন অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ৪৯ ব্যাচের রুহুল আমিন ও মার্কেটিং বিভাগের ৫০ ব্যাচের সারাফ জাহান ফারিন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে মনপুরা এলাকার প্রবেশপথে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী সারাফ জাহান ফারিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত দু'জন হলেন, সাভারের লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা নাজমুল হাসান (৩২) এবং একই প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন প্রকল্পে দৈনিক মজুরিভিত্তিতে কর্মরত আলামিন (২৮)। অভিযুক্তদের মধ্যে আরেকজন পালিয়ে যাওয়ায় তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি
ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা যায়, রুহুল আমিন ও তার বান্ধবী সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বোটানিক্যাল গার্ডেনের পাশ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনপুরা এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনজন অপরিচিত ব্যক্তি তাদের পথরোধ করে। তারা ভুক্তভোগীদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ও চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। প্রায় তিনঘণ্টা আটকে রাখার পর রুহুল আমিন টাকা আনার কথা বলে সুকৌশলে বন্ধুদের ফোন করেন। এ সময় শহীদ সালাম বরকত হল থেকে শিক্ষার্থীরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এ সময় ছিনতাইকারীদের মারধর করে নিরাপত্তা শাখায় সৌপর্দ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, 'ঘটনাটি যেহেতু বহিরাগতদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, সেহেতু নিরাপত্তা অফিস বিষয়টি দেখভাল করবে। আমি নিরাপত্তা অফিসকে বিষয়টি জানিয়েছি। রাত পৌঁনে একটায় আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক নুর আলম মিয়া অভিযুক্ত, ভুক্তভোগী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নিয়ে আশুলিয়া থানায় যান। এ ঘটনায় একটি ধর্ষণচেষ্টার মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী শিক্ষার্থী।