চকরিয়া উপজেলা সদরের দুইশ' বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী খোদারকুমের সেই জলাধার জবরদখল চেষ্টা ভন্ডুল করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। কয়েকদিন আগে একটি চক্র রাতের আঁধারে গাছের তক্তা ও টিনের বেড়া দিয়ে খোদারকুম জলাধারের সামনের অংশ জবরদখলে নিয়ে সেখানে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে। এ অবস্থায় পরিবেশ সচেতন মহলের আপত্তির মুখে দুইশ' বছরের এ জলাধার রক্ষায় গত সোমবার চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী লিখিত অভিযোগ করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর ও চকরিয়া ইউএনও দপ্তরে।
এরই প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার বিকালে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলাম পুলিশের একটি টিম এবং চকরিয়া পৌরসভার প্রতিনিধি টিমকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জলাধার জবরদখলের সত্যতা নিশ্চিত হন। এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলাম উপস্থিত থেকে অভিযান চালিয়ে সদ্যনির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে এই ঐতিহ্যবাহী জলাধার দখলমুক্ত করেন।
এ বিষয়ে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলাম বলেন, একটি চক্র কয়েকদিন আগে রাতের আঁধারে দুইশ' বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী খোদারকুম জলাধারের সামনের অংশ জবরদখলে নিয়ে সেখানে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে। জানতে পেরে চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে জবরদখল চেষ্টা থামানোর পদক্ষেপ নেন। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর পুনরায় জড়িতরা সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে। উলিস্নখিত ঘটনার আলোকে স্থানীয় পরিবেশ সচেতন মহলের আপত্তি ও চকরিয়া পৌরসভা কর্তৃক লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জলাধারের অবশিষ্ট অংশ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
চকরিয়া পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের নেতারা বলেন, বেশ কয়েকবছর আগে থেকে কতিপয় দখলবাজ চক্রের কবলে পড়েছে দুইশ' বছরের পুরানো খোদারকুম জলাধারটি। ইতোমধ্যে জলাধারের দুই তীরে বেশকিছু অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে রীতিমতো ব্যবসা বাণিজ্য শুরু করেছে। একইভাবে সম্প্রতিক সময়ে নতুন করে জবরদখলে নিয়ে তৈরি করা খোদারকুম জলাধারের সামনের অংশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ইউএনও বিপন্ন জলাশয় রক্ষায় সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। এজন্য সর্বমহল তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।