চারঘাটে নির্মাণ হচ্ছে মুজিব কিলস্না

বন্যা-দুর্যোগে আশ্রয় মিলবে হাজারও মানুষ ও পশুর

প্রকাশ | ২৭ জুন ২০২৪, ০০:০০

চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি
পদ্মা-বড়াল বিধৌত রাজশাহীর চারঘাটে নির্মিত হচ্ছে মুজিব কিলস্না। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় উপজেলার চারঘাট ইউনিয়নের রাওথা কলেজ প্রাঙ্গণে নির্মিত হচ্ছে তিন তলাবিশিষ্ট মূল ভবন ও একতলা বিশিষ্ট একটি ক্যাটেল শেড। দুর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগকালীন বা দুর্যোগ পরবর্তী অস্থায়ী সেবা কেন্দ্র হিসেবে সেবা নিতে পারবে উপজেলার প্রায় কয়েক হাজার মানুষ ও গৃহপালিত পশু। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মুজিব কিলস্নার প্রায় ৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে সাত হাজার ৬০০ স্কয়ার ফুট একটি ক্যাটল শেড ও ১৩ হাজার স্কয়ার ফুট তিনতলা বিশিষ্ট একটি মূল ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে, যা শেষ হবে ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে। নির্মাণকাজ পরিচালনা করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়ার মেসার্স রুমানা এন্টারপ্রাইজ। নদী তীরবর্তী এলাকাবাসী জানান, বন্যা অথবা নদীভাঙন হলে অন্ততপক্ষে এই মুজিব কিলস্নায় আশ্রয় নিতে পারবেন। উপজেলার পদ্মা বিধৌত নদী তীরবর্তী এলাকার বন্যাকবলিত এলাকা পিরোজপুর, চন্দনশহর, গোপালপুর, রাওথা, বাখরাবাদ, মোক্তারপুর, শ্যামপুর, ইউসুফপুর, টাঙ্গনের বন্যাকবলিত এলাকার লোকজন, গবাদিপশু পাখিসহ নির্মাণাধীন মুজিব কিলস্না শতভাগ ব্যবহার করবে। এ ছাড়াও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও জনগণের সমন্বয়ে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ এস এম শামীম আহম্মেদ। কুষ্টিয়ার মেসার্স রুমানা এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদার মাহবুবুর রহমান শাহীন বলেন, বন্যাকবলিত এলাকার লোকজন, গবাদিপশু পাখিসহ নির্মাণাধীন মুজিব কিলস্না শতভাগ ব্যবহার করবে। নির্ধারিত সময় মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা খানম বলেন, চলমান মুজিব কিলস্নার কাজ দ্রম্নত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উপজেলাবাসীর দুর্যোগ থেকে জীবন বাঁচাতে ও গৃহপালিত পশু-পাখির আশ্রয়স্থল হিসেবে ভরসা পাবে নির্মাণাধীন এই মুজিব কিলস্না। উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুল হাসান মামুন বলেন, পদ্মা ও বড়াল পাড়ের বন্যাকবলিত মানুষের কথা বিবেচনা করে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি শাহারিয়ার আলমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উপজেলায় মুজিব কিলস্না নির্মাণে বরাদ্দ দিয়েছেন। মুজিব কিলস্নার নির্মাণ কাজ শেষ হলে বন্যাকবলিত এলাকাবাসীর পাশাপাশি এই কলেজের শিক্ষার্থীরাও শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ পাবে।