বগুড়ার নন্দীগ্রামে একটি মালিকানাধীন গভীর নলকূপ মালিকের সেচ ব্যবস্থার গাফিলতির কারণে ওই মালিকের লাইসেন্স বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন গ্রামের শতাধিক কৃষক। ওই গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষকরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের সিধইল গ্রামে ১০-১৫ বছর আগে লাইসেন্স গ্রহণের মাধ্যমে দুইটি গভীর নলকূপ স্থাপন করেন সিধইল গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম। গ্রামবাসীর বক্তব্য, দুইটি গভীর নলকূপ স্থাপন করলেও একটিতে এখন পর্যন্ত বিদু্যৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র বোরিং অবস্থায় পরিত্যাক্ত রেখে একটি গভীর নলকূপের মাধ্যমে সেচ দিয়ে আসছে। এদিকে দুইটি গভীর নলকূপের আওতায় রয়েছে প্রায় ৬-৭শ' বিঘা আবাদি জমি। একটি গভীর নলকূপের মাধ্যমে সময় মত সেচ দিতে না পারায় ফসল উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। এছাড়াও কৃষকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদ করলেই জমিতে পানি না দিয়ে পতিত রাখতে বাধ্য করছে বলেও জানান কৃষকরা।
এসব ঘটনায় কৃষকদের বাঁচাতে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপটির লাইসেন্স বাতিল করে গ্রামের মসজিদ কমিটির নামে নতুন করে লাইসেন্স করে দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর অভিযোগ ও আবেদন করেন গ্রামবাসী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযোগটি ইউএনও হুমায়ন কবির বিএডিসি অফিসার ও বস্নকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলামকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, গ্রামবাসী অভিযোগে বলেছেন ঠিকমত সেচ না দেওয়ার কারণে প্রতি বিঘায় ৩-৪ মণ ধান কম হয়েছে। তবে সরজমিনে গিয়ে তদন্ত করে দেখা যায় সেসময় ধান কাটা শেষ হয়েছিল। যার কারণে ক্ষতিপুরণ নির্ধারণ করা যায়নি।
এবিষয়ে রফিকুল ইসলামের বাবা ইসমাইল হোসাইন জানান, বিদু্যৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য বারবার অফিসে যোগাযোগ করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। জমিতে পানি মোটামোটি ভাবে দেওয়া হয়েছে, তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।
ইউএনও হুমায়ুন কবির জানান, গ্রামবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করা হয়েছে এবং রফিকুল ইসলাম লাইসেন্স গ্রহণ করার পরেও কোন বিদু্যৎ সংযোগ না নেওয়ায় তাকে শোকজ করা হয়েছে।