থেকেও যেন নেই কক্সবাজার জেলা বীজ পরীক্ষাগার!

প্রকাশ | ২৬ জুন ২০২৪, ০০:০০

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
পানিতে অর্ধনিমজ্জিত কক্সবাজার জেলা বীজ পরীক্ষাগার -যাযাদি
কক্সবাজার জেলা বীজ পরীক্ষাগার কাগজে কলমে থাকলেও বাস্তবে কাজে নেই। চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে। ৫ জন কর্মকর্তার মধ্যে ৪টি পদ শূন্য। আছে কেবল অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর। অফিসটিও বর্ষার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে বর্তমানে বন্ধ রয়েছে অনেকদিন ধরে। জেলা বীজ প্রত্যয়ণ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) চট্টগ্রাম বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক মোহাম্মদ আলী জিন্নাত বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, '১১ জেলায় মাত্র ৪ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। আমি কক্সবাজার অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। আমার মূল কর্মস্থল চট্টগ্রাম বিভাগে। এমনকি আমাকে বান্দরবান জেলাও দেখতে হয়।' সরজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, কক্সবাজার সদর উপজেলার বাউন্ডারির এক প্রান্তে জেলা বীজ পরীক্ষাগার ও বীজ প্রত্যয়ণ এজেন্সী কার্যালয়টি রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে হাঁটু পরিমাণ পানি কার্যালয়ে ঢুকে পড়েছে। বলতে গেলে ওই ভবনে যাওয়া আসা বন্ধ। পানিতে নিমজ্জিত থাকায় বন্ধ রয়েছে দাপ্তরিক কার্যক্রম। তবে কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ার ছড়ায় একটি ভাড়া বাসায় কোনরকম কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলা পরীক্ষাগারে কার্যক্রম হচ্ছে, বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির খামার (ফার্ম) পরিদর্শন করা, বীজধানের নমুনা সংগ্রহ, সংগ্রহকৃত নমুনা সংরক্ষণ করে ঢাকা গাজীপুর গবেষণা কেন্দ্র প্রেরণ, বীজের গুণগতমান নির্ণয়, বাজারজাত বা বিপণন করার জন্য অনুমতি দেয়া। বিশেষ করে ভিত্তি বীজ প্রত্যায়িত করে কাগজের সাদা ট্যাগ সরবরাহ করা। এসব দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন করার জন্য একজন জেলা বীজ প্রত্যয়ণ কর্মকর্তা, একজন বীজ প্রত্যয়ণ কর্মকর্তা, একজন বীজ নমুনা সংগ্রহ কর্মকর্তা, একজন অফিস সহকারি ও একজন অফিস সহায়ক পদ রয়েছে। জানা গেছে, জাকির হোসেন নামের একজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর রয়েছেন। অবশিষ্ট ৩ গুরুত্বপূর্ণ বড় কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে। অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর জাকির হোসেন জানান, ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা অপর্যাপ্ত হওয়ায় বর্ষায় কার্যালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। বলতে গেলে ভবনের নিচের অংশ পানিতে নিমজ্জিত। দাপ্তরিক কার্যক্রম করতে চরম অসুবিধাসহ ভবনে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। এতে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ডোকুমেন্ট নষ্ট হতে পারে। আপাতত রুমালিয়া ছড়ায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে দাপ্তরিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। জেলা বীজ কারাগার পরীক্ষাগার ও বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি কার্যালয়ে শূন্য পদে কর্মকর্তা নিয়োগসহ পানিতে নিমজ্জিত নিজস্ব ভবনটি উদ্ধার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন সুশীল সমাজ।