রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক রিকশাচালককে লোহার রড গরম করে বাড়ির ভেতরে হাত-পা বেঁধে রাতভর নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। সকালে স্থানীয় লোকজন বাড়ির সামনে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করে।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গত ২২ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মাদারপুর গ্রামে। নির্যাতনের শিকার ওই যুবকের নাম মো. সুজন (২৪), পিতা মৃত শাহজাহান আলী।
এ ঘটনায় গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে। এতে মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রিকশাচালক সুজন জানান, 'গত ২২ জুন রাতে রবিউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি রিকশা ভাড়ার নেওয়ার জন্য আমাকে তার বসতবাড়িতে ডাকে। তার বাড়িতে গেলে দলবদ্ধ হয়ে আমাকে আটকে রাখে। হাতে থাকা লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে।'
তিনি আরও জানান, ৫-৭ জন ব্যক্তি মাটিতে শুইয়ে তার হাত-পা চেপে ধরে থাকে এবং হাতে থাকা লোহার রড আগুনে গরম করে হত্যার উদ্দেশে তার পিঠে একাধিক স্থানে ছেকা দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. বাবু জানান, 'রিকশাচালক সুজনকে পশুর মতো নির্যাতন করা হয়েছে। তার শরীরে যে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তা দেখে সবাই আঁতকে উঠবে। আমরা এর বিচার চাই।'
নির্যাতিতর বড় ভাই জামিল হোসেন গোদাগাড়ী মডেল থানায় পাঁচজনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন- মাদারপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে কামরুল ইসলাম, এই এলাকার রবিউল ইসলাম, মো. বাবু (২৫), মোসা. পারভীন (৪৫), মোসা. মরিয়ম (৩০)।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আব্দুল মতিন জানান, নির্যাতনের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।