আওয়ামী লীগের ইতিহাস সংগ্রাম এবং আন্দোলনের -গণপূর্ত মন্ত্রী
প্রকাশ | ২৫ জুন ২০২৪, ০০:০০
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস সংগ্রাম এবং আন্দোলনের ইতিহাস। আওয়ামী লীগের ইতিহাস সামনে এগিয়ে চলার ইতিহাস।
তিনি গত রোববার বিকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা, দলের প্রবীণ নেতাদের সম্মাননা প্রদান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, যে আশা-আকাঙ্ক্ষা ও উদ্দেশ্য নিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে বাঙালি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করেছিল, প্রতিষ্ঠার পর স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই তার অসারতা প্রমাণ হয়। পরে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে পূর্ব বাংলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে পৃথক রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এবং শামসুল হক। এ দলের প্রতিষ্ঠাকালীন সভায় উপস্থিত না থাকা সত্ত্বেও তরুণ শেখ মুজিবুর রহমানকে নেতৃত্বের আসনে নিয়ে আসা হয়। পরে সার্বজনীন রূপ দেওয়ার স্বার্থে দলের নাম পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগ রাখা হয়। এই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই ভাষা আন্দোলন, ৫৪ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২'র শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ৬৬'র ছয় দফা, ৬৯ এর গণঅভু্যত্থান, সত্তরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের উৎপত্তি।
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে বারবার চক্রান্ত করা হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার দূরদর্শী, বলিষ্ঠ ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে আওয়ামী লীগ টিকে আছে এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে ২৫ জন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তিনি তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং ম্যাডেল পরিয়ে দেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মহিউদ্দিন খাঁন খোকন, সৈয়দ মিজানুর রেজা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডা. আবু সাঈদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।