কৃষক বেঁচে থাকলে দেশে খাদ্যের অভাব হবে না -খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০২৪, ০০:০০

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর নিয়ামতপুরে 'কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪'র উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার -যাযাদি
'কৃষকরাই দেশের প্রাণ। কৃষিই মূল চালিকা শক্তি। কৃষিতেই আমাদের সমৃদ্ধি। কৃষক বেঁচে থাকলে এ দেশে খাদ্যের অভাব হবে না- দুর্ভিক্ষও হবে না'- বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সোমবার দুপুরে নিয়ামতপুর সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় 'কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪'র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকার কৃষিতে যান্ত্রীকিকরণের পদক্ষেপ নেওয়ায় ফসল উৎপাদনে বিপস্নব ঘটেছে। এখন স্বল্প সময় সীমিত জমিতে অধিক ফসল ফলাতে সক্ষম হচ্ছে কৃষক। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি ও প্রযুক্তি মেলা আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি ও উচ্চ ফলনশীল জাতের সঙ্গে কৃষককে পরিচিত করা হচ্ছে। কৃষকও সাদরে প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল গ্রহণ করছে। ধান উৎপাদন ও ভোগে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয়। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনেও তৃতীয় স্থানে আমরা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কৃষকবান্ধব সরকার। শেখ হাসিনা কৃষকের বন্ধু। কৃষি প্রণোদনা দিয়ে- ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন। সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদ হলে কৃষির জমি বাড়বে, উৎপাদনও বাড়বে। ইতোমধ্যে মডেল হিসেবে অনেক স্থানে সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদ হচ্ছে। এই পদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে দিন দিন। ধানের দাম কম বলে অভিযোগ ছিল। সরকার ধানের দাম বাড়িয়েছে। ৩০ টাকার ধানের দাম ৩২ টাকা করেছে সরকার উলেস্নখ করে তিনি বলেন, 'মিনিকেট নামে ধান নাই- চালও নাই। নতুন আইনে বস্তার গায়ে দাম লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ব্যত্যয় ঘটলে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে।' নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ মোর্শেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপস্নব এবং জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুল হাসান। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত এই মেলায় প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান (স্টল) অংশগ্রহণ করছে। স্টলগুলোতে কৃষি যন্ত্রপাতি ও উন্নত প্রজাতির বিভিন্ন ফসল প্রদর্শন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে ১২৫০ জন কৃষকের মধ্যে উফশী জাতের ধানের বীজ বিতরণ করা হয়। এর আগে খাদ্যমন্ত্রী নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।