পাবনার সুজানগর উপজেলায় দুস্থদের খাদ্য সহায়তার ৬৫ বস্তা চাল বিতরণ না করে ব্যক্তিগত গোডাউনে মজুত করে আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন প্রকল্প কর্মকর্তা। বিষয়টি তদন্তের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির জন্য প্রেরণ করেছেন পাবনাস্থ দুদক কর্মকর্তারা। গত সোমবার ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে ৬৫ বস্তা চাল জব্দ করেন স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
সুজানগর উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নে ২ হাজার ৩১৮ কার্ডে দুস্থদের খাদ্য সহায়তার (ভিজিএফ) চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত ১৩ জুন থেকে বিতরণ শুরু করে ঈদের আগেই বিতরণ সম্পন্ন করার কথা।
স্থানীয়রা জানান, বিপুল পরিমাণের চাল বিতরণ না করে নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ইউনিয়নের গোয়ারিয়া বাজারে তার ব্যক্তিগত গোডাউনে মজুত রেখেছেন।
অভিযোগ পেয়ে সোমবার ভোর রাতে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ ওই গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ৬৫ বস্তা চাল জব্দ করেন।
একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, গত রোববার সন্ধ্যা থেকে ভ্যানে করে ৩০ কেজি বস্তার ভিজিএফের চাল গোডাউন থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। এভাবেই দুস্থদের চাল নিয়মের বাইরে তার ব্যক্তিগত লোকদের দেওয়া হয় এবং পরে সেগুলো বিক্রি করেন।
আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র দাবি করে চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, দেড় থেকে দুইশ' লোক চাল নিতে আসেনি। তাদের চাল গোডাউনে রাখা হয়েছে। ঈদের পরে সুবিধাভোগীদের ডেকে বিতরণ করা হবে। এটি ব্যক্তিগত গোডাউন নয়, ইউনিয়ন পরিষদের জন্য অনুমোদিত গোডাউন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, অভিযান চালিয়ে ৬৫ বস্তা চাল গোডাউনে পেয়েছি। যে চালগুলো ঈদের আগেই বিতরণ শেষ করার কথা ছিল। চেয়ারম্যান গোডাউনটি ইউনিয়ন পরিষদের দাবি করলেও স্বপক্ষে কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, ৬৫ বস্তা চাল জব্দ করে ইউপি সচিব, গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রেখে আসা হয়েছে। আত্মসাতের অভিযোগসহ অন্যান্য সব বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় চেয়ারম্যান ও গুদাম মালিকের বিরুদ্ধে সুজানগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।