শুকনো মৌসুমে ভেকু দিয়ে কৃষিজমি থেকে যেমন মাটি কাটা হয় তেমনিভাবে বর্ষা মৌসুমে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, নিকলী, কুলিয়ারচরসহ আশপাশের হাওড় অধু্যষিত উপজেলাগুলোর বিভিন্ন নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় নদীর পাড়ের গ্রামগুলো ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করলে নদীগর্ভ বিলীন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা স্টিল বডি নৌকা দিয়ে নদীবেষ্টিত বিভিন্ন জায়গায় বালু বিক্রি করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসন নিরবতার কারণে সাধারণ জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। নিকলী উপজেলার ছাতিরচর, শিংপুর ইউনিয়নের টেঙ্গুরিয়া, বাজিতপুর উপজেলার আছানপুরসহ বিভিন্ন নদীবেষ্টিত গ্রামগুলো বিলীন হওয়ার পথে। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে এই দুই উপজেলায় গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। তথাপি বালু খেকোদের নদী থেকে বালু উত্তোলন এখনো পর্যন্ত বন্ধ হয়নি বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসনকে এলাকাবাসী জানালেও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।