ফরিদপুরের সালথায় এ বছর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। উপজেলায় প্রায় ১০ একর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে পেঁয়াজের করা আবাদ হয়।
জানা যায়, সালথা উপজেলা পাট ও পেঁয়াজের জন্য বিখ্যাত। বর্তমান চলছে পাটের মৌসুম। তারপরও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন অনেকেই। হালি পেঁয়াজ তেমন ভালো না হলেও বীজ বপন করা পেঁয়াজ ভালোই দেখা যাচ্ছে জমিগুলোতে। গাছের গোড়ায় গোল আকারে নামতে শুরু করছে পেঁয়াজ। ফলনের আশায় বুক বেঁধেছেন এখানকার কয়েজন চাষি। আবার দু-একজনের স্বপ্ন নষ্ট হয়ে গেছে, পেঁয়াজের গাছ মরে ক্ষেত ফাঁকা হয়ে যাওয়ার কারণে।
উপজেলার কৃষক শাহজাহান, সালমান শাহ ও বাহারুল জানান, 'শীতকালে আমাদের এলাকায় প্রচুর পেঁয়াজের আবাদ হয়। তাই গ্রীষ্মকালীন সময়েও আমরা পেঁয়াজের আবাদ করেছি। যেসব জমিতে হালি পেঁয়াজ লাগানো হয়েছে, সেগুলো তেমন ভালো হয়নি। লোকসান গুনতে হবে আমাদের।'
তারা আরও জানান, 'পেঁয়াজের বীজ বপন করা ক্ষেতের পেঁয়াজ মোটামুটি ভালোই দেখা যাচ্ছে। গাছের গোড়ায় পেঁয়াজ নামতে শুরু করেছে। এটা ২০ দিন পরে উত্তোলন করা যাবে। এই গ্রীষ্মকালীন সময়ে পেঁয়াজের আবাদ কীভাবে করতে হবে, সে বিষয়ে আমাদের জানতে হবে আগে। তারপর আগামীতে বেশি করে আবাদ করব।'
উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা সুদীপ বিশ্বান বলেন, এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে ১০ একর জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত ভালো হয়েছে। আর যেসব ক্ষেতে পানি জমে থাকে সেসব ক্ষেতের পেঁয়াজ ভালো হয়নি। তবে বেলে-দোঁআশ মাটিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে উপযোগী। হালি পেঁয়াজ রোপণের চেয়ে এই সৃজনে পেঁয়াজের বীজ বপন করা উত্তম।