পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরি এবং লঞ্চঘাট এলাকায় ঢাকায় ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে। শুক্রবার সকাল থেকে লঞ্চ ও ফেরিতে গাদাগাদি করে পদ্মা-যমুনা নদী পাড়ি দিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে আসছেন তারা। অনেকেরই ঈদের ছুটি শেষ আজ। আগামীকাল রোববার থেকে অফিস করতে হবে। অনেক গার্মেন্টস রোববার থেকে খোলার কারণে আগে ভাগেই বাড়ি থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবীরা।
\হদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রী নদী পাড়ি দিয়ে পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাটে আসছেন। পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দেশের দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের কর্মজীবী হাজার হাজার মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে লঞ্চ ও ফেরিতে নদী পারি দিচ্ছেন। তবে ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপের কারণে এক শ্রেণির বাস মালিক শ্রমিকরা যাত্রীদের কাছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্বাভাবিক সময়ে দেখা যায় সেলফি, নীলাচল, হিমাচল, যাত্রীবাহী বাসের ভাড়া পাটুরিয়া থেকে নবীনগর পর্যন্ত ১২০ টাকা। এখন নেওয়া হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। পাটুরিয়া থেকে গাবতলীর ভাড়া স্বাভাবিক সময়ে নেওয়া হয় ১৮০ টাকা। এখন নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা করে। কেউ অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে বাস শ্রমিকদের হাতে।
শিবালয় বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আপেল মুন্সী জানান, একশ' টাকার বেশি জিপি নেওয়ার নিয়ম নেই। অতিরিক্ত জিপির নামে চাঁদা নেওয়া হলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবেন। আরিচা অফিসের বিআইডবিস্নউটিসির ডিজিএম খালেদ নেওয়াজ জানান, শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাটে ঢল নেমেছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ১৫টি ও আরিচা-কাজীরহাট-নৌ-রুটে ৫টি ফেরি দিয়ে যাত্রী, প্রাইভেটকার এবং জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে। শিবালয় থানার ওসি আব্দুর রউফ সরকার জানান, কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের কাছে থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেননি। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।