খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খুলনার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলা। সেখানে বেড়িবাঁধ, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, মৎস্য ঘের, ফসল ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুনর্বাসনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।'
বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় রেমাল দুর্গত উপকূলে বর্তমান পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে নাগরিক প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, 'উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির উৎসগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। সুন্দরবনে পশুপাখির মৃতু্যসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে ত্রাণ ও পুনর্বাসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা যথেষ্ট নয়।'
বক্তারা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জরুরি পুনর্বাসন ও নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। শিশু খাদ্য, রান্নার সামগ্রী, জ্বালানি ও শুকনো খাদ্য সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা, জরুরি ওষুধ ও চিকিৎসাসেবা পুনঃস্থাপন এবং ক্ষতিগ্রস্ত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো মেরামত করতে হবে। জরুরি জীবিকা সহায়তা ও কৃষি উপকরণ সরবরাহ করতে হবে। বসতি ও ফসলি এলাকাকে লবণপানি মুক্ত করতে হবে। উপকূলের জন্য জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের পাশাপাশি বাজেট বাস্তবায়নে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার ইকবাল মন্টু, মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, বাপা'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রসুল বাবুল, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আনন্দ মোহন বিশ্বাস, লিডার্স-এর নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল, পার্লামেন্ট নিউজ-এর সম্পাদক সাকিলা পারভিন, আশফিয়া নিশা বৃষ্টি, নবনির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান স ম আব্দুল ওয়াহাব বাবলু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অনিতা রাণী মন্ডল, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল, ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল, সাংবাদিক রকিবউদ্দীন পান্নু, জাহিদ হোসেন, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, আব্দুল আজিজ, ইউপি মেরি রাণী সরদার ও ভুক্তভোগী আসমা বেগম।