ঝালকাঠির নলছিটিতে জিয়াউল আহসান ফুয়াদ কাজী হত্যাকান্ডে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে লক্ষ্ণীপুরের রামগতিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও ধর্ষণ মামলা ও গ্রেপ্তারী পরোয়ানাভূক্ত আসামিসহ তিন জেলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত খবর- নলছিটি (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি জানান, ঝালকাঠির নলছিটিতে আলোচিত জিয়াউল আহসান ফুয়াদ কাজী হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে থানা পুলিশ। একই সঙ্গে চার লক্ষ টাকা চুক্তিতে হত্যা মিশনে অংশ নেওয়া মো. মিজানুর রহমান (৫১)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র। গত ৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে জাতীয় নির্বাচনী কাজ শেষে নিজ বাড়ি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের চৌদ্দবুড়িয়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জিয়াউল আহসান ফুয়াদ কাজীকে। এরপরই এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার নলছিটি থানা পুলিশ চুক্তিতে হত্যায় অংশ নেওয়া উপজেলার কুশংগল ইউনিয়নের বাসিন্দা আইয়ুব আলী হাওলাদারের ছেলে মিজানুর হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এ সময় তার কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। নলছিটি থানার ওসি মো. মুরাদ আলী জানান, ফুয়াদ কাজী হত্যায় যারা সরাসরি অংশ নিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন তার সঙ্গের জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। রামগতি (লক্ষ্ণীপুর) প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্ণীপুরের রামগতিতে স্ত্রী শাহনাজ বেগম (৩০)কে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত স্বামী শিহাব উদ্দিনকে রাতেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের পর স্বামী শিহাব উদ্দিন পলাতক ছিলেন। এ ঘটনার দিন রাতে স্বামী শিহাব উদ্দিন পুনরায় এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশ খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে মসজিদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। শুক্রবার নিহতের ভাই মো. হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে শিহাবের বিরুদ্ধে রামগতি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেন শিহাব উদ্দিন। পরে তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুলস্নায় প্রেমের ফাদে ফেলে কথিত প্রেমিক আবু হাসান তার বন্ধুদের নিয়ে এক নারী গার্মেন্টস শ্রমিক তরুণীকে (১৯) ধর্ষণ করেছে। গণধর্ষণের শিকার তরুণীর হাত পা ও মুখ বেঁধে কয়েকজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় শিবলু সাহা (২৫) ও সুমনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে মূলহোতা আবু হাসান ও শাকিলকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ফতুলস্নার পঞ্চবটি গুলশান রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে উক্ত তরুণী বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। ফতুলস্না মডেল থানার ওসি নুরে আযম মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গণধর্ষণের ঘটনা বেশ কয়েকদিন আগের হলেও লোকলজ্জার ভয়েও মেয়েটি ঘটনাটি গোপন করে রেখেছিল। কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি জানান, রাঙামাটির কাপ্তাই থানা পুলিশের পৃথক দু'টি অভিযানে নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার সাফরাশির হাট এলাকা হতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি হানিফ (৫০)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি কাপ্তাই উপজেলার ১নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের বারঘোনিয়া সাদেকেরঘোনা এলাকার শেখ আহাংয়ের পুত্র বলে জানান কাপ্তাই থানার ওসি মো. আবুল কালাম। ওসি আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার সময় থানার এসআই আল-আমিন, এসআই স্বরূপ কান্তি পাল, এএসআই রবিউল আলম এবং এএসআই রামধন চন্দ্র দাস সঙ্গীয় ফোর্সসহ কাপ্তাই থানার ফেরারি জিআর সাজা-২৬৯/১৯৯৮ গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি হানিফ (৫০)কে নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার সাফরাশির হাট এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়। অপরদিকে একইদিন রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে কাপ্তাই থানা পুলিশের ঐ টিম অভিযান পরিচালনা করে ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার তুলাতলী এলাকা হতে কাপ্তাই থানার জিআর সাজা-১১৬/১৭ গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি মো. জাকির হোসেন (৫০)কে গ্রেপ্তার করেন। তিনি কাপ্তাই উপজেলার ৪নং কাপ্তাই ইউনিয়নের কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকার মৃত আবুল বাশারের পুত্র বলে জানান ওসি। বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি জানান, জামালপুরের বকশীগঞ্জে স্ত্রীর পরকীয়ার জের ধরে স্বামীর লিঙ্গ কেটে হত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার ভোরে ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের লাউচাপড়া ডুমুরতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ ঘটে। পরে দুপুরে গারো পাহাড়ের চূড়া থেকে মারাত্মক আহত অবস্থায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী ও তার ভাগ্নেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে থানা পুলিশ। স্থানীয়দের ধারণা স্ত্রীর পরকীয়ার জের ধরে স্বামী ইসমাইল হোসেনের লিঙ্গ কর্তন করা হয়েছে। বকশীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় সাহা জানান, ইসমাইল হোসেনের লিঙ্গ কেটে ফেলায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী শাহিদা বেগম (৩৫) ও ভাগ্নে মোছা মিয়াকে আটক করা হয়েছে।