রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ

ফুলবাড়ীতে বাস ভাড়ায় নৈরাজ্যের অভিযোগ ট্রেনের টিকিট সোনার হরিণ
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  ২১ জুন ২০২৪, ০০:০০
ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ

ঈদের ছুটি শেষ হতেই আবারও ভোগান্তিতে পড়েছে কর্মজীবী মানুষ। ট্রেনের টিকিট অনলাইনে শেষ হয়েছে কয়েকদিন আগেই, বাস কাউন্টারগুলোতে চলছে ভাড়ার নৈরাজ্য, প্রতিটি টিকিটে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্তি ভাড়া। এদিকে কাউন্টার মাস্টাররা বলছেন, বাস মালিকরা ভাড়া বৃদ্ধি করায় তারা বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।

ঈদ শেষে জীবিকার প্রয়োজনে কর্মমুখী মানুষ ছুটছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। তবে বেশির ভাগ মানুষ রাজধানী ঢাকায় ফিরছে। ঈদের ছুটি শেষে সবাইকে ফিরে যেতে হচ্ছে নিজ নিজ কর্মস্থলে। তাই যত ভোগান্তি হোক না কেন, কর্মস্থলে ফিরতেই হবে।

যাত্রীদের এ ব্যস্ততার সুযোগ হিসেবে নিয়ে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কারণে ঈদে ছুটি শেষে রাজধানীমুখী যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। সরেজমিন ফুলবাড়ী শহরের ঢাকাগামী বিভিন্ন বাস কাউন্টার ঘুরে দেখা গেছে, দিনাজপুর থেকে ফুলবাড়ী হয়ে প্রতিদিন ঢাকা যাতায়াত করে প্রায় ৪০টি কোম্পানির বাস। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে প্রতিটি কাউন্টারে নির্ধারিত ভাড়ার মূল্যতালিকা ঝোলানের নিয়ম থাকলেও কোনো বাসের কাউন্টারে এমন তালিকা দেখা যায়নি।

এসব বাসের ভাড়া ঈদের আগে অগ্রিম টিকিট যাতায়াতের ক্ষেত্রে দিনাজপুর-ঢাকা নন-এসি নরমাল কোসে বাসে সরকারি নির্ধারিত প্রতি কিলোমিটার ২ টাকা ১২ পয়সা হারে ৩৯০ কিলোমিটারের ভাড়া হয় ৮২৬ টাকা ৮০ পয়সা, সেখানে ব্রিজের টোল ও অনান্যসহ নির্ধারিত হয়েছে ৯৪০ টাকা এবং এসি বাসে ২৫০০ টাকা করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় এর ভিন্ন চিত্র। নির্ধারিত ভাড়া উপেক্ষা করে বিভিন্ন কোম্পানির কাউন্টারগুলো ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছে। বুধবার আহাদ পরিবহণে ১৩০০ টাকা এবং রাহবার পরিবহণ, তাসফিয়া ও রেখা পরিবহণে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে ১২০০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকা। এমন অভিযোগ যাত্রীসাধারণের। বিষয়টি নিয়ে আহাদ এন্টারপ্রাইজের টিকিট বিক্রেতা ফয়জার রহমান জানান, অতিরিক্ত টাকায় কোনো টিকিট বিক্রি করছেন না। মালিকপক্ষের বেঁধে দেওয়া দামে টিকিট বিক্রি করছেন। তারা প্রতিটি টিকিট থেকে ১০০ টাকা কমিশন পান। অনলাইনের টিকিট বেশি নেওয়ার কোনো উপায় নেই বলে জানান। একই কথা বলেন নাবিল পরিবহণের ম্যানেজার মামুন।

অপরদিকে ফুলবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় ঈদ উপলক্ষে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়ে গেছে। তবে কয়েকজন রেলযাত্রী বলেন, ট্রেনের সব টিকিট অনলাইনে যাওয়ায় একপ্রকার অসাধু ব্যক্তি বিভিন্ন নাম ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে একাধিক টিকিট ক্রয় করে সেগুলো কালোবাজারে বিক্রি করছে। তবে এই অনলাইনে টিকিট ক্রয় রোধ করা স্টেশন কর্তৃপক্ষের কোনো হাত নেই বলে জানান স্টেশনমাস্টার।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরীর জানান, বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত যে ভাড়া বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তার তালিকা প্রতিটি কাউন্টারে প্রদর্শন করতে হবে এবং সে অনুযায়ী ভাড়া নিতে হবে। বিষয়টি কাউন্টার মালিকদের অবগত করা হয়েছে। এর বাইরে যদি কেউ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন বা মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করেন, তবে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে