হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকায় উপচেপড়া ভিড়
প্রকাশ | ২১ জুন ২০২৪, ০০:০০
ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
ঈদের ছুটিতে পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ-লালনশাহ সেতু ও পরমাণু বিদু্যৎ প্রকল্প এলাকায় দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।
ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও পাবনার পাকশীর দু'পাড়ে লালন শাহ সেতু ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এসে ভিড় জমাচ্ছে। ঈদের ছুটিতে যেন মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে হার্ডিঞ্জ পয়েন্টের দু'পাড়ে পদ্মার ধারে। পদ্মার পাড়ে অবস্থিত পরমাণু বিদু্যৎ প্রকল্পের বিশাল কর্মযজ্ঞ দেখতে ভুল করছে না দর্শনার্থীরা।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছোট-বড়, ধনী-গরিব সব শ্রেণিপেশার মানুষ একটু বিনোদনের উদ্দেশ্যে এখানে ভিড় করছে। পাশাপাশি রয়েছে পদ্মা নদীর চরে হাঁটা ও পদ্মায় নৌকা ভ্রমণের সুযোগ। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের, লালনশাহ সেতুর পাশাপাশি দেখা যায় পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্রের কুলিং টাওয়ার।
একদিকে অপরূপ সৌন্দর্য আর অপরদিকে প্রজন্মের সাক্ষী ঐতিহ্যবাহী দেশের বৃহত্তম হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও পাশেই লালন শাহ সেতু দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। ঈদের পরদিন থেকে দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখর হয়ে উঠেছে বিনোদন স্থানগুলো। ঈদকে ঘিরে নতুন নতুন বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে স্থানীয় পার্কগুলো।
এছাড়াও নৌকায় চরে এপাড় ভেড়ামারায় পদ্মা পাড়ে মনি পার্ক ও আধ্যাত্মিক সাধক পুরুষ হযরত সোলাইমান শাহ্ চিশতি (র.) মাজার দেখার জন্য সেখানেও পরিবার-পরিজন নিয়ে ভিড় করে দেখছে মানুষ। এছাড়াও পাকশী মানুষের চাহিদার অন্যতম কারণ-ঐতিহ্যবাহী পাকশী পেপার মিল (বন্ধ), ফুরফুরা শরিফ, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর, বিশাল অঞ্চল নিয়ে পশ্চিম রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয়, বিবিসি বাজার ও রিসোর্টসহ ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থাপনা।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে সমান্তরালভাবে দাঁড়িয়ে আছে লালন শাহ সেতু। এটি দেশের তৃতীয় দীর্ঘতম সড়ক সেতু। এ সেতুর কোল ঘেঁষেই নির্মিত হচ্ছে দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্র। নির্মাণাধীন এ কেন্দ্রের সুউচ্চ (৩০ তলার সমপরিমাণ উঁচু) চুলিস্ন ও নতুন নির্মিত রূপপুর রেলস্টেশন উঁচু স্থাপনাগুলো হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু থেকে খুব সহজে অবলোকন করা যায়। পদ্মার পাদদেশে নির্মাণাধীন রূপপুর বিদু্যৎকেন্দ্র, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু মিলে এই এলাকা যেন সৌন্দর্যের আধারে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, হাজার হাজার দর্শনার্থী ব্রিজের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছেন। ঈদের ছুটির কারণে মানুষের সমাগম অনেক বেড়েছে। যে যার মতো করে ছবি, সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করছেন। দর্শনার্থী হায়দার আলী বলেন, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, লালন শাহ সেতু ও রূপপুর বিদু্যৎকেন্দ্র ও জিকে সেচ প্রকল্প দেখতে এসেছেন। সব মিলিয়ে জায়গাটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। জায়গাটি পর্যটনশিল্পের আওতায় আনা হলে দর্শনার্থীদের সমাগম আরও বাড়বে।
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুন্ডু বলেন, এখানে প্রতিদিন প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। দর্শনার্থীদের জন্য উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।