ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটতে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ছুরি এবং চাপাতির আঘাতে বিভিন্ন বয়সি প্রায় শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এসব আহতরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা নেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রেজিস্ট্রার বই ও বিভিন্ন বে-সরকারি ক্লিনিকের তথ্য থেকে এই পরিসংখ্যান জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে দুপুর পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৮০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিক গুরুতর আহত ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের বেশিরভাগই হাত-পায়ের আঙ্গুলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে গিয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তবে তাদের কারোরই অবস্থাই গুরুতর নয় বলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতালের রেজিস্ট্রার বই থেকে পাওয়া আহতদের মধ্যে রয়েছেন ইউনুছ (২৪), আতিক (২৭), রিপন (৩৭) নাসির মিয়া (২৮), সালমা বেগম (৪৫), মাসুম (২৭), মোক্তার হোসেন (৪৮), আবুল কালাম (৫২), মেহেদী (২৬), আয়েশা বেগম (১৪), হুমায়ূন (৬০), মিজান (৪৮) ও শাকিব (২৫) সহ প্রায় শতাধিক।
আহত ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, পবিত্র ঈদুল আজহার দিন জেলা শহরের পাড়া-মহলস্নাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিপুল সংখ্যক কোরবানির পশু জবাই করা হয়েছে। এসব পশু জবাই করতে গিয়ে মৌসুমি কিছু কসাই এবং কোরবানি দাতাদের পরিবারের সদস্যরা পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার কারণেই এমন ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে পশুর হাড়-মাংসের বিভিন্ন অংশ কাটতে গিয়ে তাদের কারো হাতের অংশের আঙ্গুল আবার কারোর পায়ে অসাবধানতাবণত ধারালো ছুরির আঘাত লেগে তারা আহত হয়। তাদের প্রত্যেককে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক অর্নিবাণ মোদক জানান, সকাল থেকে প্রায় একশত রোগী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা সবাই কোরবানির মাংস, হাড় কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন। সকলকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে যাদের আঘাত গুরুতর তাদের মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। আহতরা সবাই শঙ্কা মুক্ত।