নবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের পুকুরের লিজ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ
প্রকাশ | ২০ জুন ২০২৪, ০০:০০
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
নবীগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজ এন্ড স্কুলের ৫ লাখ টাকা মূল্যের পুকুরের মাছ রহস্যজনক কারণে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মনসুর আহমদ ও স্কুল শিক্ষক হাসান আহমদ মিলে ৭০ হাজার টাকায় লিজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে কলেজ অধ্যক্ষ লিজের বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন। এছাড়া লিজ গ্রহীতারা লিজের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
জানা যায়, নবীগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ তৎকালীন সময়ে কলেজের সন্নিকটে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠিত করেন। এখানে কলেজের মালিকানা ও সরকারের খাস ও ভিপি ভূমির ওপর বিশাল পুকুর রয়েছে। পুকুরে কলেজ প্রতিষ্ঠানের অর্থে মাছ চাষ করা হয়েছে। বর্তমানে তার বাজারমূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা। এদিকে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মনসুর আহমদ ও সেক্রেটারী পনিরের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই পুকুরের মাছ বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া কিছুদিন আগে পুকুরটি ছোট সাকুয়া গ্রামের আনোয়ার মিয়া, হিলাল মিয়া, রুমন মিয়া ও হানিফ মিয়ার কাছে মাত্র ৭০ হাজার টাকায় ইজারা দেন হাসান ও মনসুর। অথচ পুকুরের বাজারমূল্য হবে ৫ লাখ টাকা। এদিকে স্কুলের নামকরণ পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু একাডেমি। একাডেমির প্রধান শিক্ষক হাসান আহমদ লিজ দেওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে। যেখানে পুকুরে কলেজের ভূমি রয়েছে প্রায় ৭৫ শতক, বাকি ভূমি সরকার ও ভিপি খতিয়ানের। সেক্ষেত্রে ছাত্রলীগকে নিয়ে একাডেমির প্রধান শিক্ষক পুকুরটি লিজ দিতে পারেন কি না, তা নিয়েই সর্বত্র আলোচনা সমালোচনা চলছে।
এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান বলেন, 'কলেজ কর্তৃপক্ষ কোথাও লিজ দেয়নি।' কলেজ ছাত্রলীগের সেক্রেটারি পনির বলেন, 'শুনেছি একাডেমি শিক্ষক হাসান ও মনসুর লিজ দিয়েছেন, লিজ টাকা নিয়ে লিজারদের সঙ্গে ঝামেলা দেখা দিলে হাসানই পুলিশে খবর দেন। তবে বিষয়টি দফারফা করার চেষ্টা চলছে।' বিষয়টি নিয়ে হাসানের মোবাইলে একাধিক বার ফোন দিলে সুইচ অফ পাওয়া যায়।