কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বেওয়ারিশ একটি পাগলা কুকুরের কামড়ে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে শহরের পঞ্চবটী, ঘোড়াকান্দা, ভৈরবপুর, ফেরিঘাট ও চন্ডিবের এলাকার বাসিন্দাদের নির্বিচারে কামড়ে চলে কুকুরটি। এ সময় স্থানীয়রা কুকুরটি আটক করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানান।
স্থানীয়রা জানায় মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে শহরের ওইসব এলাকার পথচারিদের আচমকা কামড়াতে থাকে কুকুরটি। কুকুরটির নির্বিচার কামড়ে লোকজন আহত হতে থাকলে চারদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তখন লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে কুকুরটিকে তাড়া করলে, আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন পাড়া-মহলস্নায় ঢুকে নারী, পুরুষ ও শিশু-কিশোরদের কামড়াতে থাকে।
এ বিষয়ে ভৈরব পৌর মেয়র ইফতেখার হোসেন বেনু জানান, 'মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি আমি অবগত হয়েছি কিন্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কুকুর মারার অধিকার পৌর কর্তৃপক্ষের নেই। তবে জনতা যদি পাগলা কুকুরটিকে মেরে ফেলে আমাদের কিছুই করার নেই। চিকিৎসায় কারও সহযোগীতা লাগলে তা আমি করে দিব।'
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার বুলবুল আহাম্মদ জানান, 'পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত প্রত্যেককে ৫টি করে ভ্যাকসিন ও আইজি দিতে হয়। আমার হাসপাতালে এত পরিমান ভ্যাকসিন ছিলনা। তাদের চিকিৎসার জন্য আমি জরুরী ভিত্তিতে কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জনের সাথে যোগাযোগ করে ভ্যাকসিন হাসপাতালে ব্যবস্থা করেছি।'