আড়াইহাজারে পৃথক সংঘর্ষে আহত ২৪ বাড়িঘর ভাঙচুর

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে গত দুইদিনে পৃথক সংর্ঘষে মহিলা ও শিশুসহ কমপক্ষে ২৪ জন আহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বসতঘর। আহতদের অনেকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি হয়েছেন। দুইজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে একটি ঘটনা ঘটেছে গত বুধবার রাতে উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের দয়াকান্দা এলাকায়। এ ঘটনাটি ঘটেছে একটি মোবাইল চোর শনাক্ত করা নিয়ে। অপর ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের তেতুইতলা এলাকায়। এ ঘটনায় একজন মাদ্রাসা ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় হামলা করে ১৭ জনকে আহত করাসহ ৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। জানা গেছে, বুধবার সকালে দয়াকান্দা এলাকায় মোনছুরের বাড়ির এক ভাড়াটিয়ার একটি মোবাইল চুরির দায়ে ওই গ্রামরে শুক্কুর আলীর ছেলে সোহরাবকে সন্দেহজনক অভিযুক্ত করে স্থানীয়ভাবে বৈঠক বসে। কিন্তু চোর সাব্যস্ত না হতেই সোহরাবকে মারধর করেন মজিবুর নামে উপস্থিত এক লোক। এতে মাতাব্বর মজিবুরের উপর রাগ করে চলে যান। এ কারণে মজিবুর গং ক্ষিপ্ত হয়ে রাতে মাতাব্বরদের বাড়িতে হামলা চালান। এতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক ওয়ার্ড সভাপতি আ. গণি (৫৫), কাসেম (৫০), হাকিম (৪৫), আছমা (৪০), রেহেনা (২৫), জিয়াসমিন (২৪), আলেকা (৩৫) আহত হন। এদের মধ্যে ২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হামলাকারীরা ৩-৪টি ঘর ভাঙচুর করেছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের তেতুইতলা এলাকায় নয়নাবাদ মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রীকে (১৬) যাতায়াতের পথে এলাকার মঞ্জুরের বখাটে ছেলে সজীব ও তার সহযোগীরা প্রতিনিয়ত উত্ত্যক্ত করত। এর প্রতিবাদ করায় ওই ছাত্রীর অভিভাবকদের বাড়িঘরে সন্ত্রাসী হমলা চালায় বখাটের পক্ষের লোকজন। এতে ৫টি ঘর ভাঙচুরসহ কমপক্ষে মহিলাসহ ১৭ জন আহত হয়। আহতরা হচ্ছেন- আজিবুর (২২), আতাউর রহমান (৩২), সিফাত(১৮), শাহজাহান (৪৬), রোজিনা (৬০), পিয়ারা (৬৫), জবেদা (৫৫), মানছুরা (৩৫), সিয়াম (১০), নাদিয়া (১৪), হান্নান (৬৫) প্রমুখ। তারা আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আড়াইহাজার থানার ওসি মোহাম্মদ আহসানউলস্নাহ জানান, দয়াকান্দার ঘটনায় মামলা হয়েছে। অপর ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে।