কুতুবদিয়ায় জনস্বাস্থ্য অফিসে নেই হয়রানি, পাল্টে গেছে চিত্র

প্রকাশ | ১৬ জুন ২০২৪, ০০:০০

কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
শেরপুরের নকলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে ধান বীজ ও সার বিতরণ করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি -যাযাদি
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার জনস্বাস্থ্য অফিসে সরকারি নলকূপসহ বিভিন্ন সেবা নিতে আসা প্রার্থীদের পড়তে হতো হয়রানিতে। নলকূপ বসাতে দিতে হতো ঠিকাদারের লোকদের মোটা অংকের টাকা, এমনি কি গাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে গোবর, ডিজেল ইত্যাদি না দিলে কাজ হয় না বলে বরাবর অভিযোগ ছিল দ্বীপবাসীর। কিন্তু এখন জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের উপসহকারী ফরহাদ মিয়া যোগদান করার পর পাল্টে গেছে উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিসের সেই চিত্র। কোনো অভিযোগ নেই সেবা নিতে আসা মানুষগুলোর, নেই দালালের আনাগোনা, প্রতিটি কক্ষের ভেতরে ও বাইরে বিরাজ করছে শৃঙ্খলা।  আগে অভিযোগ ছিল, নলকূপ সমস্যাসহ নানা অজুহাতে সরকারি খরচের বাইরেও অতিরিক্ত টাকা আদায় করত কিছু চিহ্নিত দালাল। আগে এসব কর্মকান্ডে অফিসের গুটিকয়েক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দালালদের যোগসাজশের অভিযোগও ছিল, যা বরাবরই অস্বীকার করত অফিস কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, চারটি ইউনিয়নে সুপেয় পানির সংকট নিরসন করতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে উপজেলার বড়ঘোপ, কৈয়ারবিল, দক্ষিণ ধুরুং এবং লেমশীখালী জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় 'মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প' (ইমার্জেন্সি মাল্টি-সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেন্সপন্স প্রজেক্ট) বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। প্রকল্পটি ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭০ হাজার লিটার পানি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন চারটি ট্যাংক ও ৩২ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে কয়েক হাজার বসতবাড়িতে পানি সরবরাহ করা হবে। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে হায়রানি ও দীর্ঘকালের সংকট থেকে মুক্তি পাবে চার ইউনিয়নবাসী। ধূরুং থেকে সেবা নিতে আসা ইউনুস জানান, স্থানীয় এমপির মাধ্যমে একটি সরকারি নলকূপ পেয়েছেন তিনি। সরকারি খরচের বাইরে কাউকে কোনো টাকা দেননি বা কোনো টাকা দাবি করা হয়নি। তবে ফোন নম্বর ভুল থাকায় কেউ যোগাযোগ করতে পারেনি। এ নিয়ে সরাসরি অফিসারের কাছে গেলে মুহূর্তেই সংশোধন করে দেন তিনি।  উপসহকারী ফরহাদ মিয়া বলেন, নলকূপ স্থাপন করতে সরকারি ফ্রি ছাড়া কোনো প্রকার অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হয় না। কেউ যেন অতিরিক্ত অর্থ না দেয়। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সরাসরি যোগাযোগ করতে বলেন। সেবা নিতে এসে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন, তারা যেন প্রাপ্য সেবা পান, সবসময় আমরা সে চেষ্টাই করছি। সেবার মান নিশ্চিত করতেই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তবে অফিস দালালমুক্ত রাখতে সব সময় সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।