সিন্ডিকেটের কারণে পশুর চামড়ার দাম নিয়ে শঙ্কা
প্রকাশ | ১৬ জুন ২০২৪, ০০:০০
লাখাই (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
রাত পোহালেই যথাযথ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্য আর উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে মুসলিম উম্মার অন্যতম বৃহত্তম আনন্দের উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ত্যাগের মহিমায় সামর্র্থ্যবান মুসলমান ধর্মপ্রাণরা আলস্নাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সাধ্য অনুযায়ী করবেন পশু কোরবানি।
ঈদকে কেন্দ্র করে ধনী-গরিব সবার মধ্যে বিরাজ করছে উৎবের খুশি। বিলিয়ে দেওয়া ও সম্মানজনকভাবে পাওয়ার অপূর্ব সমন্বয়ের সেতুবন্ধন এই কোরবানির ঈদ। কোরবানির জবেহকৃত পশুর চামড়া ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী নিজেদের মধ্যে ব্যবহারের অনুমতি থাকলেও বিক্রীত চামড়ার অর্থ এলাকার মানুষ সাধারণত মাদ্রাসা, এতিমখানা, হতদরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় দুস্থদের মধ্যে বিলিয়ে দেন। ফলে উচ্চমূল্যে না হলেও অন্তত সঠিক মূল্যে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করতে চান কোরবানি দাতারা। কিন্তু প্রতি বছরই হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলাজুড়ে কোরবানি দাতারা চামড়া বিক্রি করতে গিয়ে পরেন বিপাকে।
অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় চামড়া ক্রেতাদের সিন্ডিকেটের কারণে এমনটা হচ্ছে। সূত্রে জানা যায়, কোরবানির মৌসুমে এলাকার কিছু চামড়া ক্রেতা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চামড়া ক্রয়ে নামেন। এ সময় যে চামড়া একবার দাম হাকা হয়, ঘুরেফিরে সব ক্রেতাই সেই একই দাম বলে ফিরে যায়। সে ক্ষেত্রে মানা হয় না সরকার নির্ধারিত দাম। একসময় দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও আর দেখা মিলে না ক্রেতার, ফলে চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েন কোরবানি দাতা।
বাধ্য হয়ে লাখ টাকা দামের গরুর চামড়া ১০০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করেন তারা। এতে একদিকে বিক্রেতারা পান না চামড়ার সঠিক মূল্য। অন্যদিকে বঞ্চিত হন দুস্থ ও দরিদ্র শ্রেণির লোকজন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য অনুযায়ী এ বছর এই উপজেলায় আনুমানিক চার হাজার ৭৯৮টি পশু কোরবানি হবে। যার মধ্যে ষাঁড় দুই হাজার ৯৩০টি, বলদ ৪৪৮টি, গাভী ৪৭১টি, মহিষ ১০টি, ছাগল ৬৩৫টি এবং ভেড়া ৩০৪টি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিশু জানান, কোরবানি দাতাদের চামড়ার সঠিক মূল্য প্রাপ্তির জন সিন্ডিকেটের কাছে চামড়া বিক্রি করতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।