দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে পঞ্চগড়ে নিখোঁজের একদিন পর ডোবা থেকে ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অপরদিকে সাতক্ষীরার আশাশুনিতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত খবর-
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আরিফা খাতুন (৩২) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগে তার স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ। পৌর এলাকার মধ্য চকচকা গ্রামে এ লোমহর্ষক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূ আরিফা খাতুনের বাবা ছাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার সকালে ফুলবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। নিহত গৃহবধূ আরিফা খাতুন চকচকা গ্রামের সাইদুল ইসলামের স্ত্রী ও চিরিরবন্দর উপজেলার কেশবপুর গ্রামের ছাইদুল ইসলামের মেয়ে।
পুলিশের হাতে আটক চকচকা গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে নিহত আরিফা খাতুনের স্বামী সাইদুল ইসলাম (৩৮) ও মৃত ময়েজ উদ্দিনের স্ত্রী নিহত আরিফা খাতুনের শাশুড়ি জাহেদা বেগম (৫৭)। শনিবার সকালে তাদের নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
ফুলবাড়ী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত গৃহবধূর বাবার দায়েরকৃত এজাহারের ভিত্তিতে নিহত গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে।
পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, পঞ্চগড়ে নিখোঁজের এক দিন পর বাড়ির পাশের ডোবা থেকে শাহিদা বেগম (১৯) নামে কলেজপড়ুয়া ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের বামনপাড়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শাহিদা বামনপড়া গ্রামের হারুনের মেয়ে এবং হাজী সফির উদ্দীন মহিলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সকাল ৯টায় নিজ বাড়ি থেকে বের হয় শাহিদা। এরপর দিনভর আর বাড়িতে না ফেরায় অনেক খোঁজাখোঁজি করে না পাওয়ায় তার বাবা হারুন পঞ্চগড় সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেন। একদিন পর গতকাল শনিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছু দূরে তাদের নিজস্ব ডোবায় স্থানীয়রা একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পরিবারের সদস্যদের জানান। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় জানান, ওই ছাত্রীর বাড়ির পাশের ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি জানান, সাতক্ষীরার আশাশুনিতে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে তার মৃতু্য হয়।
নিহত তাসলিমা খাতুন (২৫) উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের ইসমাইল সরদারের স্ত্রী ও কুল্যা গ্রামের মুনসুর সরদারের মেয়ে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার তাসলিমা শ্বশুরবাড়ি থেকে বুধহাটা বাজারে আসে এবং সেখান থেকে কয়েকটা গ্যাস ট্যাবলেট কিনে খায়। পরবর্তী পেটের ব্যথা শুরু হলে বাহাদুরপুর শ্বশুরবাড়ি গিয়ে ছটফট করতে থাকে। সেখান থেকে তাকে প্রথমে চিকিৎসকের কাছে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃতু্য ঘোষণা করেন।
আশাশুনি থানার ওসি বিশ্বজিৎ কুমার জানান, 'প্রাথমিকভাবে আমরা সুরতহাল রিপোর্ট শেষ করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাই। ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার তার পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় থানায় একটি অপমৃতু্য মামলা হয়েছে।'