বাগেরহাটের শরনখোলায় সুন্দরবন থেকে নদী সাঁতরে লোকালয়ে আসা দুটি চিত্রা হরিণ বনে ফিরিয়ে দিয়েছেন গ্রামবাসী। এর মধ্যে একটি হরিণ ধরে রেখে পরে আনুষ্ঠানিকভাবে বনে অবমুক্ত করা হয়। অপরটি নিজেই নদী পার হয়ে বনে ফিরে যায়।
বৃহস্পতিবার উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন দক্ষিণ চালিতাবুনিয়া গ্রামে ঢুকে পড়েছিল হরিণ দুটি। সুন্দরবনসংলগ্ন অভিজ্ঞজনরা জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর সুন্দরবনে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। বনের ডোবা-নালায় জলোচ্ছ্বাসের পানি আটকে তাতে প্রচুর পরিমাণে মশা জন্ম নিয়েছে। মাশার কামড়ে বনরক্ষীরাই টিকতে পারছে না। ধারণা করা হচ্ছে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে হরিণ দুটিও লোকালয়ে চলে আসে। বনবিভাগও একই কথা বলছেন।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক শেখ মাহাবুব হাসান বলেন, রাতের অন্ধকারে নদী সাঁতরে দুটি হরিণ বনের পাশের গ্রামে চলে যায়। হরিণ দুটিকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বন্যপ্রাণী লোকালয়ে গেলে তাদের না মেরে যাতে নিরাপদে বনে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়েছে।