নীলফামারীর সৈয়দপুরে লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে সরকারি কোনো নির্দেশিকা না থাকলেও এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে কোচিং ফি'র নামে জোরপূর্বক অতিরিক্ত ৩ হাজার ৫শ' টাকা আদায় করা হচ্ছে। অভিভাবকরা এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে ইউএনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বললেও অধ্যক্ষ কোনো ব্যবস্থা বা অভিভাবকদের টাকা ফেরত দেননি। এনিয়ে দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে অভিভাবকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিভাবক স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে উলেস্নখ করা হয়েছে যে, 'এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত বেতন নেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। সেই সঙ্গে সরকারি কোনো নির্দেশনা না থাকলেও কোচিং ফি'র নামে ৩ হাজার ৫শ' টাকা জোরপূর্বক সুকৌশলে আদায় করা হয়েছে। এই দ্রব্য মূল্যের বাজারে আমরা অনেকে ধারদেনা করে কোচিং ফি'র টাকা জমা দিতে বাধ্য হয়েছি। তাই অনৈতিকভাবে জোর করে আদায়কৃত কোচিং ফি'র টাকা ফেরত দিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করছি।'
আসফাক আকতার নামে এক অভিভাবক বলেন, 'কোনো প্রকার কোচিং না করিয়েই মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এতে একদিকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করেছে এবং অন্যদিকে শিক্ষা নিয়ে চরম বাণিজ্য করে অর্থগুলো নিজেদের পকেটস্থ করেছে। শিক্ষকরা যদি এমন দুর্নীতি ও অনিয়ম করেন, তাহলে আমরা যাবো কোথায়? আমরা এর সুবিচার দাবি করছি।'
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ মশিয়ার রহমান বলেন, 'আমাদের প্রতিষ্ঠানের ৪৪০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৩০ জন শিক্ষার্থীর আবেদনের ভিত্তিতে কোচিং করা হয়। যারা কোচিংয়ে অংশ নিয়েছে তাদের কাছ থেকেই শুধু কোচিং ফি' নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া যখন ফরম ফিলাপের কার্যক্রম চলছিল তখন যদি এ ব্যাপারে অভিযোগ করা হতো, তাহলে কিছু করার ছিল। কিন্তু, এখনতো ফরম ফিলাপ শেষ আর প্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এখন শুধু পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার বাকি। কাজেই এ অভিযোগের বিষয়ে করার কিছু নেই।'