টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের আউলটিয়া গ্রামের জীবিত জয়তন বেগম নামে এক বৃদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে তার নামের বিধবা ভাতার কার্ড স্থানীয় ইউপি সদস্যের শাশুড়ির নামে স্থানান্তর করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ওই বৃদ্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা যায়, কালিহাতী উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের সদস্য মিজানুর রহমান একই এলাকার জীবিত জয়তন বেগমকে মৃত দেখিয়ে তার নামের বিধবা ভাতার কার্ড ইউপি সদস্যের শাশুড়ি মমতা বেগমের নামে স্থানান্তর করেছেন। সম্প্রতি জয়তন বেগম তার ভাতা বই নিয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গেলে জানতে পারেন- এক বছর আগে তিনি মারা গেছেন। তার স্থলে এই কার্ড আউলটিয়া গ্রামের মমতা বেগমের নামে ইসু্য করা হয়েছে।
বিধবা জয়তন বেগমের নাতনি কনিকা আক্তার জানান, ভাতা কার্ড পাওয়ার পর তিন মাস অন্তর অন্তর নিয়মিত ভাতা পাচ্ছিলেন। তবে এক বছর ধরে তার মোবাইলে ভাতার মেসেজ আসা বন্ধ হয়ে যায়। কেন এমনটি হয়েছে তা তিনি জানতে পারেননি।
এ বিষয়ে বাংড়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি জানান, ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মজনুকে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মজনু দুঃখ প্রকাশ করে জানান, এটা তার ভুল হয়েছে। এমনটা তার করা উচিত হয়নি। ওই বৃদ্ধাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। কালিহাতী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে দ্রম্নত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেন বৃদ্ধা জয়তন বেগম তার প্রাপ্য দ্রম্নততম সময়ে ফেরত পান।