আ'লীগ নেতা বাবু হত্যায় ইউপি চেয়ারম্যানের জামিন জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি

প্রকাশ | ১৪ জুন ২০২৪, ০০:০০

পাবনা প্রতিনিধি
পাবনায় আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম বাবু ওরফে ডাক বাবুকে (৪৫) গুলি করে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন গয়েশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মুতাই। বাবু হত্যা মামলায় তাকে প্রধান আসামি করারও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। ওই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে নিজ এলাকায় আসলে নেতাকর্মীরা মোতাহার হোসেন মুতাইকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তব্য দেন তিনি। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন মুতাই বলেন, আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থি সদস্যরা পুনরায় সংগঠিত হচ্ছে। তারা আবারও এলাকায় হত্যাকান্ডে মেতে উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গয়েশপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জহিরুল ইসলাম বাবু ওরফে ডাক বাবুকে গত ৮ জুন রাতে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি বলেন, 'বাবুকে হত্যা করা হলো আরেকটি ইউনিয়নের এলাকায়। ভাড়ারা ইউনিয়নের নলদাহ নতুনপাড়া এলাকার একটি চায়ের দোকানে। অথচ সেই হত্যা মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করুন। আমিও বাবু হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।' এ সময় পাবনা জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর ফিরোজ, গয়েশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. নাসিম, আওয়ামী লীগ নেতা ইমদাদুল হক, আলাউদ্দিন, জেলা যুবলীগ নেতা খায়রুল ইসলাম, গয়েশপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক শেখ মনসুর, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা কাউসার আহমেদ সাগর, আব্দুল হাই, আরিফুল ইসলাম মিঠু, নুর ইসলামসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উলেস্নখ্য, গত ৮ জুন রাত নয়টার দিকে সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের নলদাহ নতুনপাড়া এলাকার জামাল শেখের দোকানে চা পান করছিলেন বাবু। এ সময় পাশের পাট ক্ষেত থেকে কয়েকজন সন্ত্রাসী এসে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।